CHIRANJIT ROY JAIL

প্রতিবাদে নেমে এক মাসের বেশি বন্দি বেহালার যুবনেতা

কলকাতা

ডিওয়াইএফআই নেতা চিরঞ্জিত রায়। ছবি ফেসবুক থেকে।

মনোজ আচার্য

আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হওয়ায় বন্দি রয়েছেন বেহালার যুবনেতা। ডিওয়াইএফআই নেতা চিরঞ্জিত রায়কে এক মাসের বেশি সময় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলবন্দি করে রেখেছে মমতা ব্যানার্জির দলদাস পুলিশ। ডিওয়াইএফআই নেতার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে দিকে দিকে ছাত্র যুব মহিলা আন্দোলনের এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ সোচ্চার হয়েছেন। 
গত আগস্টের ১৪ তারিখ তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। আর জি কর হাসপাতালের সামনেও এই দাবিতে জড়ো হয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।  ওই রাতেই আর জি কর হাসপাতালে হামলা চালায় তৃণমুলের দুষ্কৃতী বাহিনী। সঠিক তদন্তে না গিয়ে আন্দোলনে যুক্ত প্রতিবাদীদের ফাঁসানোর লক্ষ্যবস্তু করে কলকাতা পুলিশ। ডিওয়াইএফআই বলেছে, এই অভিসন্ধির শিকার করা হয়েছে চিরঞ্জিতকেও। 
বেহালার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডীতলার বাসিন্দা ডিওয়াইএফআই ’র আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি চিরঞ্জিত রায়। গত ১৭ আগস্ট গভীর রাতে লালবাজার থেকে পুলিশ আচমকাই হানা দেয় তাঁর বাড়িতে। কোনও আ্যরেস্ট মেমো ছাড়াই তাঁকে বাড়ি থেকে লালবাজারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর তাঁকে লালবাজারে আটক করে রাখার পর, পরের দিন,  অর্থাৎ ১৮ আগষ্ট তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। উল্টোডাঙা থানার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যুব নেতার দু’দফায় ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজত হয়। 
আবার শ্যামপুকুর থানাও দায়ের করে রেখেছে অভিযোগ। সেই মামলায় চিরঞ্জিতকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পুলিশি চক্রান্ত তাঁর পিছু ছাড়েনি। এরপর উল্টোডাঙা থানায় দায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ফের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেপাজত হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর শিয়ালদহ কোর্টে সেই মামলার শুনানি রয়েছে। 
ঘটনাক্রমে দেখা যাচ্ছে চিরঞ্জিতের গ্রেপ্তারিতে প্রতিবাদ দমানোর অভিসন্ধি স্পষ্ট। কারণ, ১৭ আগস্ট তাঁকে কোনও ‌আ্যরেস্ট মেমো ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পুলিশের করা সেই নথিতে গ্রেপ্তারির সময় দেখানো হয় ১৮ আগস্ট দুপুরে। অথচ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রাতে। তা’হলে তাঁকে কিভাবে লালবাজারে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর আটক করে  রাখল কলকাতা পুলিশ, উঠছে সেই প্রশ্ন। 
এদিকে এক মাসের বেশি সময় বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলে জেলবন্দি থাকার কারণে পরিবারের ওপর চুড়ান্ত সঙ্কট নেমে এসেছে। ধৃত ডিওয়াইএফআই নেতার মা ও বাবা দু’জনেই দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগছেন। তাঁর স্ত্রী ও দু’বছরের শিশুসন্তানও রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment