এবার ফের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দিল্লিতে ইডি’র সদর দপ্তরেই জেরায় তলব করা হয়েছে মলয় ঘটককে। কয়লা পাচার তদন্তে তাঁকে তলব করেছে ইডি।
মঙ্গলবারই দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে পাঠিয়েছে। গোরু পাচার তদন্তে অনুব্রতকে ১১দিন দিল্লিতে হেপাজতে রেখেছিল ইডি।
তবে গোরু পাচার নয়, কয়লা পাচার কাণ্ডেই আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছে। এর আগে একাধিকবার জেরা এড়িয়েছেন আইন মন্ত্রী। আগামী ২৯ মার্চ তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর আপ্ত সহায়ককেও তলব করা হয়েছে এই কয়লা পাচার কাণ্ডেই।
পরপর ৮বার কয়লা পাচার কাণ্ডে তলবের নোটিশ পেয়েও জেরা এড়িয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ২৯ মার্চ যদি ফের জেরা এড়ালে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইডি।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর অপর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই আসানসোল ও কলকাতায় মলয় ঘটকের সাতটি ঠিকানায় তল্লাশি চালায়।আসানসোলের তিনটি বাড়ি থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র, নথি, ব্যাঙ্কের লেনদেনের কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মন্ত্রীর তিনটি স্মার্টফোনও বাজেয়াপ্ত করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে পাঠাতেই ভাষ্য বদলে ফেলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র হিসাবে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘কেউ পদে থেকে যদি দুর্নীতি করেন তার দায় পার্টির নয়। একজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল দল, জেলা সভাপতি তো ছোট ব্যাপার।’
পার্থ চ্যাটার্জি মন্ত্রী ছিলেন, তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শশী পাঁজার মন্তব্যে স্পষ্ট, জেলা সভাপতিকে ‘ছোট ব্যাপার’ বলে চালাচ্ছে দল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি যদিও পদমর্যাদায় অনেক ওপরেই ছিলেন। তবে অনুব্রতের পাশে শেষ পর্যন্ত থেকেছে দল। বিপুল খরচে মামলা লড়া হয়েছে।
Comments :0