আলুর দাম না পেয়ে কৃষকরা রাস্তায়। আর রাজ্যের সরকার সহায়ক মূল্য ঘোষণা করছেন বাজারদরের কমে। এ রাজ্যের সরকার ফড়েদের চেয়ে বড় ফড়ে।
রবিবার এই মর্মে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
রাজ্যের সর্বত্র কৃষক বিক্ষোভের খবর আসছে। চাষের খরচ উঠছে না। হিমঘরে আলু রাখতে পারছেন না। আলু হিমঘরে রাখার বন্ড ২ হাজার টাকা থেকে কালোবাজারে চড়ে গিয়েছে ১৬ হাজার টাকায়। বাজারদর কমে যাওয়ায় চাষের খরচ উঠছে না কৃষকদের। জলপাইগুড়ির মতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিমঘরের সামনে বিক্ষোভ ফেটে পড়েছে।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘কৃষকদের হাল খুব খারাপ। ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। আর সরকার এমন সহায়ক মূল্য ঘোষণা করছে যা বাজারদরের চেয়ে কম। মানে কম পয়সায় কিনে পরে বাজারে বেশি দামে বিক্রির ব্যবস্থা করবে।’’
চক্রবর্তীর সংযোজন, ‘‘তৃণমূল সরকার ফড়েদের চাইতে বড় ফড়ে। ফড়েদের ব্যবসার অলশ হয়ে পড়ছে সরকার নিজে। আর কৃষক সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।’’
গত ৩ মার্চ আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে রাজ্য। কুইন্টালে সাড়ে ৬০০ টাকা সহায়ক মূল্যে আলু কেনার কথা বলেছে। তবে আলু বস্তায় ভরে হিমঘর পর্যন্ত আনার খরচ কৃষকদেরই। আলুর কুইন্টাল অন্তত ১ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভ দেখিয়েছে সারা ভারত কৃষকসভা।
চাষের মাঠ থেকে হিমঘর পর্যন্ত ফড়েদের দাপটে কৃষকদের ফসলের দাম পাওয়া কঠিন হচ্ছে। কৃষকসভা বলেছে, চাষের খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুচাষীদের আত্মহত্যার খবর আসছে।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় সিপিআই(এম)’র সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন চক্রবর্তী।
Comments :0