জ্ঞানবাপি মসজিদের সমীক্ষার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া সমীক্ষা করতে পারবে। হিন্দু গোষ্ঠীগুলির আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে রায়ের এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার।
রায়ের কিছু পরেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড জানিয়েছে যে নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে।
বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় ক্ষেত্রে জ্ঞানবাপী মসজিদ এখন লক্ষ্য হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন অংশের। এই মসজিদ মন্দির ভেঙে তৈরি, এমন প্রচার কেবল সংবাদমাধ্যমে নয়, সামাজিক স্তরেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমের একাংশে জানানো হয়েছে যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভেকে মসজিদে সমীক্ষার করতে দিতে রাজি হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মন্দিরের ওপর মসজিদ নির্মিত কিনা, তা-ই পরীক্ষা করার কথা এএসআই’র।
গত ২১ জুলাই বারাণসীর জেলা আদালত চার মহিলার আবেদনের ভিত্তিতে সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মসিজ কমিটি যায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত মসজিদ কমিটিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানাতে বলেছিল।
দিনকয়েক আগে শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। রায়দানের দিন নির্ধারিত ছিল ৩ আগস্টই। তার ঠিক আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মন্তব্য করেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললেই বিতর্ক হবে। মুসলিম সমাজের মেনে নেওয়া উচিত (ওটা মন্দির)। প্রশ্ন ওঠে বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির লক্ষ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এমন মন্তব্য কিনা।
অযোধ্যায় ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের চৌহদ্দিতে রামমন্দির তৈরির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনা হলো, শীর্ষ আদালতের রায়ে নির্দিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়নি। মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছিল, নানা পর্বে সর্বেক্ষণের পরও এমন নির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির হয়নি। ‘ভাবাবেগ’-কে প্রাধান্য দিয়েই এই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, বলা হয়েছিল রায়ে।
Comments :0