বারো দশকের মধ্যে সবচেয়ে গরম এবারের ফেব্রুয়ারি। মার্চ থেকে মে’তে তাপমান স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান, এবারের গ্রীষ্মে বাড়বে তাপপ্রবাহের দিনও।
ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় গমের ফলনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এবারের ফেব্রুয়ারিতে গড় দৈনিক তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯০১’র পর কখনও ভারতে এই তাপমান নথিভুক্ত হয়নি ফেব্রুয়ারিতে। ওই বছর থেকেই ভারতে তাপমাত্রা নথিভুক্তি ব্যবস্থা চালু হয়।
মরশুমের আগাম অনুমান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে ২০২৩’র ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানী এস সি ভান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, সারা বিশ্বের উষ্ণায়নের প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। ভারতে এই ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই প্রবণতার সঙ্গে কতটা সম্পর্কিত তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য জানাচ্ছে, ২০১৬’তে ২৯.৪৮ ডিগ্রি দৈনিক গড় তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয় ফেব্রুয়ারিতে। ২০০৬’এ ছিল ২৯.৩১ ডিগ্রি, ২০১৭’তে ২৯.২৪ ডিগ্রি এবং ২০০৯’এ ২৯.২৩ ডিগ্রি।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, চেন্নাই এবং মহারাষ্ট্রে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার আশেপাশে থাকবে। তবে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব, ঙদ্য এবং পশ্চিম ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে তাপমাত্রা।
তাপ্রবাহের দিনও বাড়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। গমের ফলন মার খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বিশেষত, মার্চে অতিরিক্ত তাপমানের পূর্বাভাস থাকায়। বিদ্যুত সরবরাহে সঙ্কট দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্তরে। আবহাওয়া দপ্তর যদিও দাবি করেছে যে গমের ফলন নিয়ে কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা কৃষিক্ষেত্রকে দেওয়ার জন্য মন্ত্রককে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
Comments :0