Modi Illegal Immigrants

‘অনুপ্রবেশের চক্রান্ত সুপরিকল্পিত’, লালকেল্লার ভাষণে মোদী

জাতীয়

দেশের জনবিন্যাস বদলাতে কুপরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশ চলছে। শুক্রবার ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণে এমনই ‘বিপদের’ উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে অস্থিরতার আবহে নরেন্দ্র মোদীর এই ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদী বলেন, "আজ আমি দেশের জনগণকে একটি গুরুতর ইস্যু নিয়ে সতর্ক করতে চাই। এটা শুধুই নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, এটা দেশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা শুধুই সংখ্যা নয় — এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের যুবকদের চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, আমাদের সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা আমাদের বোন ও কন্যাদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিহার বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে বিজেপি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে অনুপ্রবেশ কে প্রধান গুরুত্বের বিষয় হিসেবে প্রচার করেছে। অনুপ্রবেশের প্রচারে নেমে বস্তুত মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষের প্রচার অন্যতম উপাদান হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দলের। অনুপ্রবেশের কথায় বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৬৫ লক্ষ লোকের নাম তালিকা থেকে বাদ দিলেও তার মধ্যে বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা কত সেই তথ্য দিতে পারেনি।
মোদী বলেছেন, “এমনকি আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভুলপথে পরিচালিত করে, তাদের জমি দখল করেও চলেছে। এটা আর সহ্য করা হবে না। দেশের নিরাপত্তা, সংস্কৃতি ও সম্পদের ওপর এভাবে আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। দেশের স্বার্থে এই ইস্যুকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।” 
ঘটনা হলো, বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ তুলছেন যে প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যায়। ছত্তিশগড়ে আদানীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এমনই একটি প্রকল্পের বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত।
লালকেল্লার ভাষণে মোদী কয়েকটি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী প্রজন্মের সংস্কারের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘দীপাবলির উপহার’ হিসাবে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি’র বোঝা হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে হাসপাতাল, রেল সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘সুরক্ষা কবচ’ গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর সূচনা করার কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments :0

Login to leave a comment