Nurse's Death Singur

দেহ নিয়ে পালালো পুলিশ, বিক্ষোভ ওয়ালস হাসপাতালে

জেলা

শুভ্রজ্যোতি মজুমদার

কন্যার দেহ হাতে পাননি বাড়ির লোক। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে পালালো পুলিশ। কলকাতায় পাঠানো হতে পারে দেহ। অভিযোগ ময়নাতদন্ত না করে এই নার্সের দেহ সরানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের বড়া তেলিয়ার মোড়ের একটি নার্সিংহোমে কর্মরত অবস্থায় মারা যান এই নার্স। নন্দীগ্রামে তার বাড়িতে জানানো হয় যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছ দেহ। কিন্তু পরিবার নন্দীগ্রামে তাদের বাড়ির থেকে ছুটে এলেও দেহ পায়নি। 
সিঙ্গুর থানার ওসিকে পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি দেন কন্যার বাবা। দেহ সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানান পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। নার্সিংহোমের মালিককে গ্রেপ্তার করার দাবি ও জানান। তিনি অভিযোগ করেছেন যে কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। 
ঘটনার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র যুব এবং মহিলারা তুমুল বিক্ষোভ দেখান এলাকায়। 
শুক্রবার ওয়ালশ হাসপাতাল চত্বর প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পরিবার চাইছে ময়নাতদন্ত এই হাসপাতালেই হোক। জানা গিয়েছে পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা পরিবারকে বলেছেন যে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কলকাতায় পাঠানো হতে পারে। 
হাসপাতালে শুক্রবার দুপুরেও রয়েছেন বামপন্থী ছাত্র যুব এবং মহিলা কর্মীরা। তাদের দাবি ময়নাতদন্ত এই হাসপাতালেই করতে হবে। দেহ নিয়ে পালানোর সময় প্রবল বিক্ষোভ দেখান তারা। গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ কোন মতে বিক্ষোভ সরিয়ে দেহ নিয়ে পালায়। 
আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসকের হত্যার এক বছর হয়েছে সবে। সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে নার্সের মৃত্যু এবং তারপর দেহ নিয়ে পালানোর পর্বে সেই ঘটনাই মনে পড়ছে রাজ্যবাসী।

 

Comments :0

Login to leave a comment