এসআইআরের কারণে ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কা আছে সংখ্যালঘু আদিবাসী এবং দলিতদের। বুধবার বিজয় চকে ইন্ডিয়া মঞ্চের সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে বলেন, ‘সংসদে বিরোধী সাংসদরা এসআইআর নিয়ে আলোচনা চাব। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা দেখানো হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘লোকসভার অধ্যক্ষ রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে বার বার আলোচনার দাবি জানানো হচ্ছে। এসআইআরের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে এটা হতে দেওয়া যায় না।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধান প্রতিষ্ঠান সেই সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা করা যাবে না। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম)’এর পক্ষ থেকে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস।
বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সরকার আলোচনা করলেও এসআইআর নিয়ে তারা আলোচনায় রাজি নয়। আলোচনার দাবি নিয়ে বার বার উত্তাল হয়েছে সংসদ।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। গত ২৪ জুন বিহারে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সার্বিক সংশোধন বা এসআইআর এর শুরু করেছে। কমিশনের নোটিশে বলা হয়েছে ২০০৩ সালের পর থেকে ভোটার তালিকায় যাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে তাদের বাবা মায়ের জন্মশংসাপত্র পত্র একাধিক নথি জমা দিতে হবে। তার ভিত্তিতে তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। বিরোধীদের দাবি কোন আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনে এই নির্দেশিকা জারি করেছে। তাদের দাবি ঘুর পথে এনআরসির কাজ করানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো। উল্লেখ্য প্রায় ২.৫ কোটি ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেই যেই ভোটারদের থেকে এই সব নথি চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে পরিযায়ী শ্রমিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
INDIA
এসআইআরে ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কা আছে সংখ্যালঘু আদিবাসী এবং দলিতদের, দাবি বিরোধীদের

×
Comments :0