GAZA

মাত্রা ছাড়িয়েছে ইজরায়েল, মত আমেরিকার প্রায় অর্ধেকের

আন্তর্জাতিক

মাত্রাতিরিক্ত আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। মার্কিন মুলুকের প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্কই একথা মনে করছেন। প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে চাইছে এমন দেশের সংখ্যা বাড়ছে। লুক্সেমবার্গের নাম যুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। 
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এলো  খোদ আমেরিকায়।  
চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল  নিযুক্ত কমিশন ঘোষণা করেছে যে ইজরায়েল গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যাই চালাচ্ছে। ইজরায়েল ইতিমধ্যেই গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করেছে। ৯০ শতাংশ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে গাজা শহরে দুর্ভিক্ষ চলছে পুরোদমে। মৃতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। খুন করে হচ্ছে নিরীহ নারী ও শিশুদের।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘে গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণা করার জন্য প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ফ্রান্সের মতো মোট ১৪২টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভারত এই প্রস্তাবে বহুদিন পর প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভোট দেয়। নরেন্দ্র মোদী সরকার রাষ্ট্রসঙ্ঘে দেশের বরাবরের অবস্থানকে সরিয়ে রেখে ইজরায়েলের সহায়তা করে গিয়েছে। 
এবার প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া উচিত বলে জানালো লুক্সেমবার্গ। গত মঙ্গলবার লুক্সেমবার্গ জানায় যে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আহ্বানে প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতির দিতে ইচ্ছুক দেশগুলির সম্মেলনে যোগ দেবে তারাও। 
লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন বলেছেন, ''সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গোটা ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে জনমত সংগঠিত হচ্ছে। সেই জন্যই লুক্সেমবার্গ সরকার প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে যোগ দিতে চায়।"
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রায় ৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ১৪৭ দেশ, প্যালেস্তাইনকে সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। তবে গত কয়েক মাসে ফ্রান্স, মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশ প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ব্রিটেন সফরে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সফরের পর প্যালেস্তাইন সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারে ব্রিটেনও। 
ইজরায়েল-আমেরিকার সঙ্গী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি যদিও শুল্কযুদ্ধের চাল হিসেবে এমন কৌশল নিচ্ছে বলে মনে করছে একাংশ। তবে বিশ্ব জনমতের বিপুল অংশ যে প্যালেস্তাইনের জনতার মুক্তির দাবিকে স্বীকৃতির পক্ষে, দেখাচ্ছে ঘটনাক্রম।

Comments :0

Login to leave a comment