দিম কয়েক আগে পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির পর ফের এলাকায় দাপুটে পরিচিত অপর এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে গভীর রাত্রে বোমাবাজি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কঙ্কালীতলায়। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অঞ্চলের তৃণমূল নেতা আলেফ সেখ। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখের অনুগামী বলেই পরিচিত। রবিবার রাত্রে বোমাবাজির পর সোমবার সকালেই তার বাড়িতে যান কাজল শেখ। সেখানেই কাজল সেখ বলেন, ‘‘পুলিশ চাইলে দুষ্কৃতীদের তালিকা তুলে দেব।’’ যা ঘিরে শাকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ আবার প্রকাশ পেয়েছে।
গোরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে ২ বছর পর বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপরেই কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে তা নিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের বনাম দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের অনুগামীদের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছেই এরই মাঝে গত ৫ জানুয়ারি অনুব্রত অনুগামী কঙ্কলীতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামন শেখের লায়েক বাজারের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ হয়েছিল শান্তিনিকেতন থানায়। আবারও ১৬ ফেব্রুয়ারি উপপ্রধানের বিরোধী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখের অনুগামী স্থানীয় নেতা মনোয়ার আলেফ শেখের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়ির চাল লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার শব্দে রীতিমত আতঙ্কিত রয়েছে এলাকা। তাঁর বাড়িতে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। রাস্তায় পরে থাকা বোমার সুঁতলি হাতে নিয়ে দেখেন তিনি। কাজল শেখ বলেন, ‘‘বীরভূমে বোমাবাজি, গুলির রাজনীতি কেন হবে? আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে। কারও বাড়িতে বোমা পড়া বাঞ্ছনীয় নয়।’’ এই নেতাই স্বীকার করেছেন, ‘‘বোলপুর সংলগ্ন এই সিয়ান-মুলুক এলাকা দুষ্কৃতকারীদের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। নানুর তথা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুষ্কৃতীরা এসে সিয়ান-মুলুক চত্ত্বরে ডেরা বেঁধেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। যদি পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা চায় তাদের নামের লিস্ট আমি দিয়ে দেব। কে কোথায় বাসা বেঁধেছে সব দিয়ে দেব।’’
Birbhum
ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্বে তপ্ত বোলপুরের কঙ্কালীতলা

×
Comments :0