KUMARSWAMY ASP DURGAPUR

দুর্গাপুরের এএসপি’র মতো ৫ কারখানা নিয়ে প্রশ্ন কুমারস্বামীকে

জাতীয়

এইচডি কুমারস্বামী।

দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি) বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কী এগবে সরকার? ভাইজ্যাগ স্টিল প্ল্যান্ট, সালেম স্টিল প্ল্যান্ট, ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টও কী কম দামে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে?
সদ্য নিযুক্ত ভারী শিল্প এবং ইস্পাত মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর উদ্দেশ্যে এমন পাঁচটি ইস্পাত প্রকল্পের ভবিষ্যত জানতে চাইল কংগ্রেস। রাষ্ট্রায়ত্ত এই পাঁচ ইস্পাত কারখানা বেসরকারিকরণে এগিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কর্মী এবং শ্রমিক আন্দোলনের জেরে সাময়িক ভাবে পিছু হটতে হয়েছিল। 
দুর্গাপুরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারিকরণ ঠেকানো গিয়েছিল আন্দোলনের জেরে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেইল)’র ভূমিকায় বারবারই অসন্তোষ জানাচ্ছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। 
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কুমারস্বামীকে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন কর্ণাটকে ভদ্রাবতীর বিশ্বেশ্বর আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্ল্যান্ট বেসরকারিকরণ নিয়েও। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। এখন তাঁর দল জনতা দল (এস) সঙ্গী হয়েছে বিজেপি’র। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে কুমারস্বামী নিজেও রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা কম দামে বেসরকারি হাতে তুলে দেোয়ার নীতিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন।  
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব বন্টন হয়েছে। এবার শরিকদের ওপর বিজেপি-কে নির্ভর করতে হলেও তুলনায় কম গুরুত্বের মন্ত্রকই দেওয়া হয়েছে শরিক নেতাদের। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই নরেন্দ্র মোদী বুঝিয়ে রেখেছেন যে মন্ত্রীসভাকে একেবারেই নিয়ন্ত্রণে রেখে চলবেন তিনি। 
মঙ্গলবার জাতীয় কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ কুমারস্বামীকে মনে করিয়েছেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে আন্দোলনের বৃত্তান্ত। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুরের এই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বেচে দিতেই চেয়েছিলেন। তাঁকে পিছিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু বারবার অবস্থান বদলাতে অভ্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরের মানুষ সরকার ঘোষিত পরিকল্পনায় সামান্যই ভরসা রাখছেন। কুমারস্বামী কি দুর্গাপুরের মানুষকে আশ্বাস্ত করতে পারেন যে এই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বিক্রি করা হবে না?’’
রমেশের প্রশ্ন, ‘‘রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড (আরআইএনএল), বেশি পরিচিত ভাইজ্যাগ স্টিল প্ল্যান্ট হিসেবে, মোদীর নেতৃত্বাধীন আগের সরকার এই প্রকল্প বিক্রির প্রস্তাব নিয়েছিল। আরআইএনএল’র শ্রমিক কর্মচারীরা তিন বছর ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়েছেন। কারণ মন্ত্রীসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি একশো শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রাণবন্ত এই ইস্পাত সংস্থাকে লোকসানে চলতে বাধ্য করেছে সরকারের নীতি। কুমারস্বামী কী আশ্বাস দেবেন যে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের হাতে বিক্রি করা হবে না এই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাকে?’’

Comments :0

Login to leave a comment