সত্যব্রত ভট্টাচার্য
মেডিক্যাল কাউন্সিলের মাথায় বসে রয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তরা। প্রহসনের ভোট করে এরা মেডিক্যাল কাউন্সিল দখল করেছে। এদেরই অপদার্থতার কারণে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের শিকার হয়েছেন চিকিৎসক-ছাত্রী।
বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে অবস্থানে একথা বললেন চিকিৎসকরা। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস এদিনও বলেছে, ‘অবৈধ, দুর্নীতি-থ্রেট কালচার-এমনকি আমাদের মেয়ের হত্যঅকাণ্ডে অভিযুক্ত মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দিতে হবে।’
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরসের সঙ্গে অভয়া মঞ্চও এদিন অবস্থানে শামিল রয়েছে। শামিল রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। সদ্য পুলিশি হেনস্তার শিকার আন্দোলনরত আসফাকুল্লা নাইয়াও বক্তব্য রেখেছেন বিক্ষোভ সমাবেশে।
গত কয়েকদিন এই মেডিক্যাল কাউন্সিলই চিকিৎসকদের নামে অভিযোগ জানাচ্ছে। শুরু হচ্ছে পুলিশী প্রক্রিয়া। আসফাকুল্লার কাকদ্বীদের বাড়িতে হয়েছে তল্লাশি। আর ২৬ জানুয়ারি আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা উৎপল ব্যানার্জি, মানস গুমটা, সুবর্ণ গোস্বামী, রঞ্জন ভট্টাচার্যের নামে সল্টলেকের থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। মেডিক্যাল কাউন্সিল অভিযোগ জানিয়েছে এই চিকিৎসকরা নিজেদের দায়িত্ব পালন না করায় কাজে ক্ষতি হয়েছে।
অবস্থানে চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিলের মাথায় অবৈধ উপায়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে এই রেজিস্ট্রারকে। লুটের ভোটে জিতে এসে কিছু চিকিৎসক মেডিক্যাল কাউন্সিলকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছে। থ্রেট কালচার ও দুর্বৃত্তচক্রের জন্ম দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থায়। চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। তার জেরে আরজি কর হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি নৃশংস হত্যার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কাউন্সিল নৈতিক ও বৈধ অধিকার হারানো পচে যাওয়া প্রতিষ্ঠান।’
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মদতেই এই চিকিৎসকদের রমরমা, আর জি কর আন্দোলনে তা বারবার দেখা গিয়েছে। মেদিনীপুরে জাল স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুর পর কলকাতায় ডেকে জেরা করছে সিআইডি। তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ জাল স্যালাইন নির্মাতা সংস্থর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গোটাটাই দুর্নীতি-দুষ্কৃতী চক্রের অংশ, বলছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
Comments :0