সেমিকনডাক্টর চিপ প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে ফক্সকন। আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত বহুজাতিক সরে যাওয়ার প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রতিশ্রুতি। তবে তাতেও থামছেন না প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার গান্ধীনগরে মোদীর দাবি, ‘‘ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্র। আরও বাড়বে।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘আগে বিশ্বে সবাই ভাবত ভারতে সেমিকনডাক্টর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে কেন। এখনসেই বিনিয়োগকারীরাই বলছে, কেন ভারতে বিনিয়োগ করা হবে না! সেই সঙ্গে মোদী ফের জানিয়েছেন ভারতে ব্যবসা করতে এলে ৫০ শতাংশ প্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগে।’’
সেমিকন্ডাক্টর চিপ ক্ষেত্র যে সম্ভাবনাময় তা নিয়ে সন্দেহ রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। উৎসাহ দিতে একাধিক ছাড় ঘোষণাও করে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু তারপরও সরে গিয়েছে ফক্সকন, তা-ও গুজরাট থেকে।
আই প্যাড, আই ফোন, ব্ল্যাকবেরির মতো বৈদ্যুতিন পণ্য নির্মাণে জড়িয়ে থাকা সংস্থাটি গুজরাটে বেদান্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে ১৯.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থেকে সরে যায়।
ফক্সকনের সঙ্গে গোড়ায় চুক্তি হয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারের। সেই প্রকল্প সরে যায় গুজরাটে। অনুমান, প্রভাব খাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই প্রকল্প সরিয়েছেন নিজের রাজ্যে। তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে রাজনৈতিক স্তরেও।
১.৫ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর তাইওয়ানের সংস্থা ফক্সকন বা হন হাই টেকনলজি জানায় অংশীদারিত্ব ভিত্তিক নতুন গোষ্ঠী নিয়ে সংস্থার মূল শেয়ারহোল্ডারদের সংশয় তৈরি হয়েছিল। তাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব, ভারতকে সুবিধা দেবে। ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এমন দৃষ্টিকোণ থেকে চিপ ব্যবসায় জোর দিচ্ছে ভারত। কেন্দ্রের নীতির পিছনে যে অনুমান কাজ করছে তা হলো, চীনের ভূখণ্ড থেকে কারখানা সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের জন্য আকর্ষণীয় ছাড় ঘোষণা করলে ভারতে আসবে।
ভারতের বিভিন্ন সংস্থা অনেক আগে থেকেই সফ্টওয়ার ক্ষেত্রে বহুজাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। তবে এই ব্যবসার কেন্দ্র গুজরাট নয়। চিপ ব্যবসার কেন্দ্র গুজরাটকে করতে চাইছেন মোদী।
শুক্রবার গান্ধীনগরে ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৩’ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘‘তিনশোটি কলেজ বেছে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির কোর্স চালু হবে। বিনিয়োগের সহায়ক মানবসম্পদ রয়েছে দেশে।’’
Comments :0