North Bengal Weather

উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে প্লাবনের আশঙ্কা

জেলা

North Bengal Weather

সঞ্জিত দে - ধূপগুড়ি
পাহাড়  ও সমতলে ব্যাপক বর্ষেণের জেরে ডুয়ার্সের সর্বত্র বন্যা পরিস্থিতি। গত দুদিন মুষলধারে বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। দিনের বেলা কম হলেও রাতের বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। বুধবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টিতে ডুয়ার্ষের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা সহ নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এখনো বৃষ্টি চলছে। গয়েরকাটা এলাকায় আংরাভাসা নদীর জল ঢুকেছে। সাকোয়াঝোরা এক নং গ্রামপঞ্চায়েতের ঝারআলতা দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত। ভূটান পাহাড়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে চামুর্চি থেকে হাতিনালা দিয়ে জল ঢুকে বানারহাট সহ বিন্নাগুড়ি এলাকার ২৫ থেকে ৩০ টি চা বাগান প্লাবিত হয়েছে। বানারহাট ও বিন্নাগুড়ির বহু জনবসতিতে জল ঢুকে পড়ে। এই মূহুর্তে অনেক বাড়ির উঠনে কোমর প্রর্যন্ত জল। 

বানারহাট রেল স্টেশন লাগোয়া এলাকার বিন্নাগুড়ির শ্রমিক- চা শ্রমিক আবাসন সহ বিস্তীর্ণ্ এলাকা প্লাবিত। বানারহাট ও ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি ব্লকের কৃষি এলাকার সমস্ত নদীগুলি জলে প্লাবিত। তিস্তা জলঢাকা সহ জেলার বড়নদীগুলি জলে ফুঁসছে। ইতিমধ্যে তিস্তা এবং জলঢাকার সংরক্ষিত এলাকায় লাল সঙ্কেত এবং অশংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। ডুডুয়া গিলান্ডি নোনাই রাঙাতি বামনি কুমলাই নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। জেলার সব চাইতে বড় নদী তিস্তা জল ঢাকায় লাল সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। মালবাজার ব্লকের চেল লিস ঘিস নদীর জল বিভিন্ন চা বাগান সহ জনবসতি এলাকায়  প্লাবিত। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা ডায়না নদী নাগরাকাটা বানারহাট ব্লকের সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে। এই নদীর জলের তোরে বিভিন্ন চা বাগান বনবস্তি কৃষি এলাকা প্লাবিত। 

বইছে জলের স্রোত, জলস্তর বাড়ছে নদীগুলির। বিপদের আশঙ্কা। তারমধ্যেই আবার বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। হাওয়া অফিসের পূর্ভাবাস বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে শুক্রবার। আংশিক মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

Comments :0

Login to leave a comment