বাজার থেকে বর্জ্য তোলার জন্য পঞ্চায়েত ধার্য করেছিল কর। সেই কর দিতে নারাজ জনসাধারণ। সংগৃহীত বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে সেই জায়গাও পাওয়া যায়নি। তাই চালু হওয়ার ঠিক কুড়ি দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেলো বলরামপুর শহর থেকে বর্জ্য তোলার কাজ। ব্যবসায়ীদের দাবি তারা কিন্তু কর দিতে রাজি নয় এই কথাটা অনেকাংশেই ভুল। তারা কর দিতে রাজি যদি প্রত্যেকদিন ময়লা পরিষ্কার করা হয় তবেই। ২০ দিন বা ২৫ দিন বা এক মাস পর যদি ময়লা পরিষ্কার করা হয় তাহলে গন্ধে চারিদিক ভরে যায়। আগে পঞ্চায়েতকে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে প্রত্যেকদিন ময়লা পরিষ্কার করা হবে। তারপরেই তারা সানন্দে কর দেবেন।
জানা গিয়েছে নির্মল পঞ্চায়েত গঠনের জন্য রাজ্য সরকার জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শুষ্ক ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি করে ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো বহু পঞ্চায়েত থেকে নির্মান করা হয় একটি করে ইউনিট। বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বলরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য ২০২৩-২৪ সালে ছয় লক্ষ দু হাজার পাঁচশো চব্বিশ টাকা খরচ একটি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্ট ইউনিট গঠিত হয়েছিল। অভিযোগ এই ইউনিটটি গঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তালা খোলা হয়নি। ফলে কী কারনে এত খরচ করে এটা নির্মান হয়েছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এর আগে বলরামপুর দৈনিক বাজারের মধ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার তরফে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছিল। যে যন্ত্রে সেই সবজি বাজারের পচা সবজি সহ খোসা ভিতরে ঢুকিয়ে সার তৈরির কথা ছিল। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে সেটি পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। একদিনের জন্য সেটা চালু করা হয়নি। এরই মধ্যে গতমাসে একটিই কার্ট গাড়ি আবর্জনা তোলার জন্য বাজারে কয়েকদিন ঘুরলেও তা দিন কয়েকের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জানা গিয়েছে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য দোকান পিছু মাসিক সামান্য কর আদায়ের জন্য পঞ্চায়েত উদ্যোগ নিলেও বাজারের ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ দিতে চাইছেন না। বলরামপুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের বক্তব্য তারা কিন্তু কর দিতে রাজি আছেন। পঞ্চায়েতকে প্রত্যেকদিন নিয়মিত ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। সে কাজে তারা কেন অতিরিক্ত অর্থ দেবেন। পঞ্চায়েতে বক্তব্য ই-কার্ট চালাতে মাসিক কুড়ি হাজার টাকা খরচ। কিন্তু কর আদায় হচ্ছে দু হাজার টাকা। পঞ্চায়েত থেকে এত টাকা ভর্তুকি দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। সংগৃহীত ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
Solid waste unit
বলরামপুরে দু-বছরেও চালু হলো না কঠিন বর্জ্য ইউনিট

×
Comments :0