মেটেলি ব্লকের বিধান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাচু মোড় রবিবার দুপুরে আচমকা রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ঘটনাস্থলে মেটেলি থানার আইসি নিলাম সঞ্জীব কুজুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে মিছিল করে ফেরার পথে আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের আক্রমণ করে। সিপিআই(এম)’র দুই সমর্থকের চিকিৎসা চলছে মাল সুপার স্টেশালিটি হাসপাতালে।
ঘটনা ঘিরে পালটা অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে দাবি একাধিক কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তবে সারা রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে যে তৃণমূল আক্রমণ করার পর দলের তরফে আক্রান্তদের নামেই পালটা অভিযোগ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে বিরোধী বামপন্থীদের ওপর মামলাও চাপানো হচ্ছে এই কৌশলে।
সিপিআই(এম) মেটেলি এরিয়া কমিটির সদস্য আশিস রায় বলেন, ‘‘মাথাচুলকা সহ আশেপাশের এলাকায় মিছিল ও পথসভা ছিল। সময় মতো আমরা প্রার্থীদের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে মিছিল করছিলাম। দেড়টা নাগাদ মিছিলের শেষ পর্যায়ে কাচু মোড় এলাকায় আসি। তৃণমুল কংগ্রেসের কিছু কর্মী ও সমর্থক ডিজে বাজিয়ে ফুর্তি করছিল। মিছিল কাছাকাছি আসতেই তৃণমুল প্রার্থী তাপসী রায় ও তাঁর স্বামী মনতোষ রায়ের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী আচমকাই আমাদের উপর লাঠি, বাঁশ ও পাথর নিয়ে আক্রমণ করে।’’
হামলায় আশিস রায়ের পাশাপাশি জখম হয়েছেন কল্যাণী সরকার, অনিল সরকার ও সাগরিকা রায়। কল্যাণী সরকার ও অনিল সরকারের মাথায় চোট লাগে। দ্রুত তাঁদের মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশিস রায় জানান যে থানায় অভিযোগ করা হবে।
তৃণমূলও আবার এই ঘটনায় সিপিআই(এম)’কে দায়ী করেছে। বলা হয়েছে, দলের প্রার্থী তাপসী রায় এবং সমর্থকদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনজনকে মাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে জলপাউগুড়িতে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় বিধাননগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
Comments :0