{ad]
তামিলনাডু না, তামিঝাগাম। রাজ্যের সরকারি প্রতীক নয়, কেন্দ্রের প্রতীক। পোঙ্গল অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করে ফের বিতর্ক ডেকে আনলেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার বিভিন্ন অংশ চিঠির ছবি দিয়ে জানিয়েছে গত বছর পোঙ্গলের আমন্ত্রণে রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি আলাদা ছিল। সোমবারই বিধানসভার ভাষণে প্রায় নজিরবিহীন বক্তৃতা দেন রাজ্যপাল। সরকারের বয়ানের বাইরে নিজের কথা জুড়ে দেন। প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন নিজে।
ডিএমকে'র পাশাপাশি বামপন্থীরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন রাজ্যকে দেশের বিপক্ষে রেখে রাজভবন থেকে অনবরত প্রচারে। ১১ জানুয়ারি রাজভবনে পোঙ্গল অনুষ্ঠান করবেন রাজ্যপাল আর এন রবি। রাজ্যের জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রীদের কাছে পাঠিয়েছেন চিঠি। নিজেকে তামিলনাডুর রাজ্যপালের বদলে নিজের পরিচয়ে রবি লিখেছেন 'আলাউনুর তামিঝাগাম'। তা নিয়েই ছড়াচ্ছে ক্ষোভ।
{ad]
'তামিঝাগাম' শব্দের ব্যবহার রাজ্যের সরকারি চিঠিপত্রে বিরল নয়। কিন্তু রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে বিতর্কের মূলে রয়েছে তাঁরই সাম্প্রতিক বক্তৃতা। ৪ জানুয়ারি রবি রাজভবনে এক অনুষ্ঠানে দ্রাবিড় ভাবাবেগের সমালোচনা করেন। দ্রাবিড় রাজনীতিকে 'পিছনে হাঁটা' বলেন। রবির মত, সারা দেশ যে দিকে চলতে চায় তামিলনাডু তার বিরোধিতা করে। রাজ্যের নাম বদলে ' তামিঝাগাম' করা উচিত। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ জানাচ্ছে, 'তামিলনাডু' বলতে তামিলে অঞ্চলকে বোঝায়। 'তামিঝাগাম' রাজ্যপাল যে অর্থে ব্যবহার করেছেন তাতে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন অংশ বোঝায়। মঙ্গলবার পোঙ্গল চিঠির ছবি দিয়ে টুইট করেন সাহিত্যিক এবং সিপিআই সাংসদ সু ভেঙ্কটেসন। তিনি লিখেছেন, "গতবার রাজভবনের চিঠিতে তামিলনাডুর রাজ্যপাল শব্দ ছিল। এবার তামিঝাগাম। বিভিন্ন অংশই সরব কেন্দ্র নিযুক্ত রাজ্যপালের কাজে। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সরকার। তামিলনাডুতে 'হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান' স্লোগানে সাংস্কৃতিক আধিপত্যে বাধা রয়েছে। তাই এমন সক্রিয়তা। আরএসএস'র কর্মসূচি রূপায়নে তৎপর রাজভবন।
Comments :0