বাঁশবেড়িয়া এবং শেওড়াফুলির গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলো তিন কিশোর। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
এর আগে মুণ্ডশ্বরীতে তলিয়ে গিয়েছিলেন পাঁচজন। তারমধ্যে নিখোঁজ দুই কিশোরীর দেহও মিলেছে এদিনই। পরপর নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের আবহ হুগলীতে।
বাঁশবেড়িয়া বালিঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় এই দুই কিশোর। তাদের নাম সুমিত ও সন্তোষ যাদব। বয়স ষোলো।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বাঁশবেড়িয়ার শিবপুর এলাকার বাসিন্দা তিন কিশোর গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নামে। একজন উঠে পড়তে পারলেও দুই বন্ধু তলিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানতে পেরে বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয়। খবর দেওয়া হয় জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। গঙ্গায় স্পিড বোট নামিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শেওড়াফুলির নিস্তারিনী ঘাটে মা বাবার সঙ্গে স্নান করতে নেমে ডুবে যায় জাঙ্গীপাড়ার এক কিশোর।
এর আগে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলো পাঁচ জন। বুধবার মৃত্যু হয় একজনের, নিখোঁজ ছিল দুই কিশোরী। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দেহ ভেসে ওঠে নদীর জলে।
মৃত কিশোরী মানসী ধারা ও বর্ষা পন্ডিতের দেহ দেখতে পান স্হানীয়রা। মানসী ধারা গোঘাট থানার মৃতূল এলাকার বাসিন্দা। বর্ষা পণ্ডিত বিরাটি এলাকার বাসিন্দা। দুই কিশোরীর দেহ আরামবাগ থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
Comments :0