BRIGADE

বাংলাকে ফের বোঝাতে হবে আন্দোলন কাকে বলে, ব্রিগেডে অমল হালদার

রাজ্য ব্রিগেড

প্রতীম দে
২৭ বছর আগে তেভাগার বর্ষপুরণ উপলক্ষে কৃষক সমাবেশ হয়েছিল। ওই তেভাগা আন্দোলন দাঙ্গা আটকে ছিল, আজকে যেই অবস্থা চলছে তাতে রাজ্যের কৃষক সমাজ সঙ্কটের মুখে। কৃষকেরা ফসলের দাম পাচ্ছে না। তাদের অবস্থা কঠিন। মাইক্রো ফাইন্যান্সের কবলে পড়েছেন তাঁরা। একদিকে ফসলের দাম পাচ্ছে না অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে, এবার বলছে স্মাট মিটার বসানো হবে। বামপন্থী নেতারা বলেছিল রাজ্য কাঁপিয়ে দিতে হবে, তারপর লাল ঝান্ডা নিয়ে কৃষকরা লড়াই করেছিল, জমি আন্দোলন হয়েছিল। মজুরি আন্দোলন হয়েছিল। জোতদারদের থেকে নেওয়া জমি আবার জোতদারদের কাছে চলে যাচ্ছে। টাকার বিনিময় আদিবাসীদের সংশাপত্র দিচ্ছে সরকার। অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বামফ্রন্টের সময় পশ্চিমবঙ্গে ধান উৎপাদনে ছিল প্রথম। এখন চতুর্থ স্থানে এই চলে গিয়েছে। সমবায় শেষ করে দিচ্ছে সরকার। কৃষি উৎপাদন না বাড়লে রাজ্য বাঁচবে না। আমাদের ভাবতে হবে। রাজ্য বাঁচাতে হবে। এই রাজ্য দেখেছে খাদ্য আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকার নয়া কৃষি আইন করে কৃষকদের শেষ করে দিচ্ছে। জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে মোদী সরকার। দেখতে হবে রাজ্যের সরকার ওই আইন রাজ্য বিধানসভায় পাশ করায় কি না।
হলদার বলেছেন, সোমবার ভারতে আসছেন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি। এর ফলে অবাধে মার্কিন কৃষি পণ্য দেশে ঢুকবে। এমনি কৃষকরা দাম পাচ্ছে না। এর ফলে কি হবে? আরো সঙ্কট বাড়বে। আগামীকাল দেশ জুড়ে কৃষক সভা ভ্যান্স গো ব্যাক স্লোগান তুলবে। ২০ মে ধর্মঘট সফল করতে হবে। তিনি বলেন, হরে কৃষ্ণ কোঙার বলেছিলেন শত্রু পক্ষকে পরাস্ত করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে বুঝিয়ে দিতে হবে আন্দোলন কেমন হয়।
ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে এদিন মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা পীড়িত মানুষের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে ঘেষণা করা হয়। আবেদন করা হয় মুক্ত হস্তে অর্থ সাহায্যের।

 

Comments :0

Login to leave a comment