Terrorism Modi

সেনা অভিযানকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার সংকীর্ণতা, বললেন সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য জেলা

কলেজে ভর্তি এখনও চালু করছে না কেন। সংরক্ষণের ব্যবস্থা রেখে ভর্তিতে কেউ বাধা দেয়নি। আদালতও আপত্তি করেনি। দ্রুত ভর্তি না হলে বেসরকারি কলেজগুলিকে সহায়তা করা হয়ে যাবে। 
শনিবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। 
শনিবার এই দাবি তুলেছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও। সংগঠন বলেছে যে ২০০৯ পর্যন্ত অন্য অনগ্রসর অংশ বা ওবিসি শংসাপত্রকে বৈধ বলেছে হাইকোর্ট। ২০১০ থেকে দেওয়া শংসাপত্র বাতিল করতে বলেছে।
চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘যে ওবিসি শংসাপত্র বৈধ তার ভিত্তিতে ভর্তি চালু করা উচিত।  পরবর্তীতে সংরক্ষণের জন্য আসনের দরকার হলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রাজ্যে এখন কলেজগুলিতে বহু আসন এমনিতেই ফাঁকা।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘বৈধ শংসাপত্রের ভিত্তিতে সংরক্ষণের সুযোগ রেখেই ভর্তি চালু করা উচিত।’’ 
২৯ মে প্রধানমন্ত্রী এবং ৩১ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসতে পারেন রাজ্যে। গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বিকানেরে পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের ত্রিশ দিনের মাথায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে মোদী বলেন যে বাইশ এপ্রিল পহেলগামে হামলার বদলা নেওয়া হয়েছে বাইশ মিনিটে। এমন মন্তব্যও করেন যে নিজের শরীরে রক্ত নয় গরম সিঁদুর বইছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সেনা অভিযানকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের এই কৌশলের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন অংশ।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওঁরা হয়ত মনে করছেন যে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের এটিই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। 
তিনি বলেন সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে গোটা দেশ একসঙ্গে রয়েছে। তাকে যদি রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হয় তবে তা সংকীর্ণতা হবে।’’ 
আরেক প্রশ্নে চক্রবর্তী বলেন, পহেলগামের ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি উঠেছিল সর্বদলীয় বৈঠকেই। সে দাবি বামপন্থীরা ওই বৈঠকেই করেছে। তখন মমতা ব্যানার্জি দাবি তোলেননি। তিনি বলেন, বিধানসভাকে এড়িয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর লোকসভা এড়িয়ে যেতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 
গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, স্কুলে স্কুল প্রধানশিক্ষকদের বলা হয়েছে ভাতার জন্য নাম সুপারিশ করে পাঠাতে। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের। কিন্তু তা দিতে গিয়ে বিপদে ফেলার হচ্ছে শিক্ষকদের। সুপারিশ পাঠানো প্রধান শিক্ষকদের কাজ নাকি? কেউ আবেদন করলে বড়জোর তিনি উচ্চতর স্তরে তা পাঠিয়ে দিতে পারেন। নাম ঠিক করার দায়িত্ব সরকারের। আদালতে বিপদের মুখে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে শিক্ষকদের।’’

Comments :0

Login to leave a comment