এদিন এসএফআই নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জাননাো হয়েছে, গোটা বছর ধরে শিক্ষার বাঁচানোর স্লোগানকে সামনে রেখে লড়াই চলবে। স্কুল, কলেজের সামনে এবার থেকে হবে কর্মসূচি।
দেবাঞ্জন বলেন, ‘‘৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ব্রাত্য বসু এবার থেকে বিকাশ ভবনে ঢুকলে তার শূন্য পাওয়া মার্কশিট দেখতে পারবেন। গতকালের পুলিশের ভূমিকাকে ধিক্কার জানিয়েছেন বহু মানুষ এবং সংগঠন। এই লড়াই সবার। সবাই মিলে শিক্ষাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। সবার কাছে আবেদন সামাজিকমাধ্যম হোক বা অন্য কোন মাধ্যমে ব্রাত্য বসুর কাছে পাঠিয়ে দিন বক্তব্য। আগামী দিনে লড়াই আরও তীব্র হবে। কলকাতা বইমেলা থেকে বিকল্প শিক্ষানীতি সংগ্রহ করা যাবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি কোণায় এই বিকল্প শিক্ষানীতি পৌঁছে যাবে। মানুষের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে।’’
গতকাল বিকল্প শিক্ষা নীতি এবং পরীক্ষায় ডাহা ফেল করা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মার্কশিট নিয়েছিল এসএফআইয়ের বিকাশ ভবন অভিযান। অভিযানকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় এসএফআই কর্মী সমর্থকদের। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিকাশ ভবনে ঢুকে যান দেবাঞ্জন দে, প্রয়ণ কার্য্যীরা। প্রেপ্তার হন একাধিক এসএফআই কর্মী সমর্থক সহ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য গতকাল রাতে শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। সেই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে, এসএফআই নেতৃত্ব সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে থেকে অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাস গুন্ডাদের মুক্তাঞ্চল। ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই এই ঘটনায় তারা আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। কারা এর সাথে যুক্ত তা খুঁজে বার করতে হবে। গোটা কলেজ ঘিরে রাখে তৃণমূল।’’
গত আট বছর রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে এই দাবিও ছিল সোমবারের বিকাশ ভবন অভিযানে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্ট গোটা প্যানেল বাতিল করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গতকালের রায়ের পর। সেই প্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্যানেল বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসএফআই দাবি করছে যোগ্য অযোগ্যদের ভাগ করতে হবে। দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। সরকার দুর্নীতি করল আর যোগ্যরা চাকরি করতে পারবেন না, নাম বাদ যাবে, এটা হবে না। সরকারের মনোভাব কি ২৬ হাজার পদ খালি রাখা? যদি তা করা হয় তাহলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত আরও নেমে যাবে। চাকরিরতদের মধ্যে যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করতে হবে অবিলম্বে। অযোগ্যদের চিহ্নিত করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক।’’
চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আন্দোলনের প্রতি বার বার সংহতি জানিয়েছে এসএফআই ডিওয়াইএফআই। এসএফআই নেতৃত্ব বলেন, ‘যাঁরা অবস্থান চালাচ্ছেন তাঁদের আন্দোলনকে বার বার সমর্থন জানিয়েছে এসএফআই। তখনও বলা হয়েছিল যোগ্য অযোগ্য তালিকা আলাদা করার। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার এবং দুর্নীতির দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।’’
Comments :0