বর্তমান ফুটবলে চলেছে কর্পোরেট সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতির প্রভাব থেকে নিস্তার পায়নি ভারতীয় ফুটবলও। প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী সংস্থার বিপুল অর্থের বিনিময়ে যেমন একদিকে নিরাপদ হচ্ছে বড় ক্লাব এবং ফ্রাঞ্চাইজিগুলির ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে ঠিক তেমনই বিলুপ্তপ্রায় হয়ে যেতে বসেছে ভারতের অন্যান্য ঐতিহ্যশালী ক্লাবগুলি। বিশেষ করে গোয়ান ফুটবল। একসময় আইলিগে গোয়া থেকেই খেলতো মোট ৪টি দল । ডেম্পো , চার্চিল , স্পোর্টিং ক্লাব দি গোয়া ও সালগাওঁকর। বাংলা তথা ভারতের তিন প্রধানের বিরুদ্ধে প্রত্যেক ম্যাচেই এই দলগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়াত। কিন্তু আইএসলের আগমনের সময় থেকেই ভারতীয় ফুটবলেও আগমন ঘটলো কর্পোরেট সংস্থার জোয়ার। প্রথমদিকে বেশ কয়েকবছর তিনপ্রধানকে ছাড়াই আইএসএল চললেও তা খুব বেশি যে ফলপ্রসূ হবেনা এই কথা বুঝতে পেরেছিল এফএসডিএল। ধীরে ধীরে নিম্নগামী হচ্ছিল আইএসএলের টিআরপি। মাঠমুখী হয় বন্ধ করেছিলেন সমর্থকরাও। তারপরেই যেন টনব নড়ল ভারতীয় ফুটবলের। নিজেদের ভুল শোধরাতে তারা নিয়ম করলো আইলিগ চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি সুযোগ পাবে আইএসএলে। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল অবশ্য তার বেশ কয়েকবছর আগেই প্রবেশ করেছিল আইএসএলে। ২০২০ সালে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দল এটিকের সঙ্গে যোথ উদ্যোগে বা জয়েন্ট ভেঞ্চারে আইএসএলে প্রবেশ করেছিল মোহনবাগান। অন্যদিকে তৎকালীন বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সাথে যুক্ত হয়ে আইএসএলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলও। তাদের আগমনে আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল আইএসএলের টিআরপি। কিন্তু এর ফলে গোয়ার অন্যান্য ক্লাবগুলি হারিয়ে গেলো কর্পোরেটের কুজ্ঝটিকায়। এই ব্যাপারটি প্রমাণিত যে কর্পোরেট বিনিয়োগকারী সংস্থার দৌলতে মাঠের ভিতর এবং বাইরে যে কোনো দলই পরিচালিত হয় একেবারে পেশাদারি মোড়োকেই। তবে সব দলের ক্ষেত্রে সেটি করা সম্ভবপর না হয়ে ওঠায় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে যেতে বসেছে এই ক্লাবগুলি। যদিও বর্তমানে আইলিগ টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে চার্চিল ব্রাদার্স।ফলে তাদের কাছে সুযোগ রয়েছে মহামেডানের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএলে প্রবেশ করার। তবে সেক্ষেত্রে আশঙ্কার জায়গাটা হল উপযুক্ত কোনো বিনিয়োগকারী সংস্থার অভাবে না পিছিয়ে পড়ে এই ক্লাবটি।
india's other leagcy clubs are endangered for this corporatization
কর্পোরেট ফুটবলের কুজ্ঝটিকায় প্রায়াছন্ন ঐতিহ্যশালী ক্লাবগুলি
.jpg)
×
Comments :0