‘‘স্টেশনে হঠাৎ করে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় ট্রেন ধরাকে কেন্দ্র করে। স্ত্রী এবং এক সন্তান সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গিয়েছিল। মেয়ে এবং আমি মাঝে আটকে যাই। চারদিক থেকে শুরু হয় ধাক্কা ধাক্কি। সেই সময় একটি লোহার রড মেয়ের মাথায় ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক জানায় সব শেষ।’’ দিল্লি স্টেশনে ১৫ ফেব্রুয়ারির রাতের ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনা জানালেন ওপিল সিং।
একটি সাক্ষাৎকারে দিল্লির বাসিন্দা ওপিল বলেছেন, কোন ক্ষতিপূরণ তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না। পরিবারকে নিয়ে কুম্ভে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই ঘটে এই ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ১২জন মিলে কুম্ভ মেলায় যাচ্ছিলাম। ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেই সময় যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কোন মতে স্ত্রী এবং এক সন্তানকে রক্ষা করি। মেয়ে ওই ভিড়ের মধ্যে পড়ে যায়।
ওপিলের মতো নিজের বাবা মা এবং সন্তানকে একসাথে ওই রাতে হারিয়েছেন মনোজ শাহ। তিনি জানিয়েছেন তার বাবা মা বিহারের মুজফফরপুরের বাসিন্দা একসাথে তারা কুম্ভে যাবেন বলে দিল্লিতে তার কাছে এসেছিলেন। সেদিন রাতে ওই দুর্ঘটনায় একসাথে পরিবারের তিনকে হারিয়ে শোকাহত মনোজ। তিনি বলেন, ‘‘আগামী মাসে আমার মেয়ের ১২ বছর বয়স হবে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাবা মা এবং মেয়ে শেষ হয়ে গেলো।’’
মনোজ এবং ওপিল দুজনেই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছে রেলকে। তাদের দাবি চুড়ান্ত অব্যবস্থার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, প্রশাসন যদি সতর্ক থাকতো এবং ট্রেন বাতিলের কথা যদি আগে ঘোষনা করা হতো তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
রেলের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপুরণের ঘোষনা করা হয়েছে কিন্তু আত্মীয় পরিজনদের হারানো এই মানুষ গুলো বলছে কোন ক্ষতিপুরণ তাদের এই ক্ষতি মেটাতে পারবে না।
Delhi Accident
ক্ষতিপুরণ তাদের ক্ষতি মেটাতে পারবে না বলছে দিল্লিতে পদপিষ্ট হয়ে পরিজন হারানো ব্যাক্তিরা

×
Comments :0