Joshimath cracks row

যোশীমঠ নিয়ে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

জাতীয়

যোশীমঠ(Joshimath) নিয়ে রবিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র (P K Mishra)। এছারাও ছিলেন কেবিনেট সচিব, বিপর্যয় মোকাবিল দপ্তরের আধিকারিক, যোশিমঠের জেলা আধিকারিক ও উত্তরাখন্ড সরকারে আধিকারিক। যোশীমঠের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে বৈঠকে, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের(PMO) তরফে। যোশিমঠের প্রায় ৯০টির কাছে বাড়িতে ও রাস্তাতে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনও দিন আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। মৃত্যু হতে পারে বহু মানুষের।


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এনটিপিসি’র(NTPC) হাইড্রাল প্রোজেক্টের ফলেও আরও বিপদের মুখে পড়েছে যোশীমঠ। তাদের দাবি কয়েকমাস আগে এই প্রকল্পের কাজের জন্য মাটির নিচে বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিল এনটিপিসি। তারপর থেকেই বাড়িগুলোতে অল্প অল্প ফাটল দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে তিনবার চিঠি লিখলেও কোন সুরাহা হয়নি। শুক্রবার রাতের ঘটনার পর উত্তরাখন্ড(Uttarakhand) সরকার নড়েচড়ে বসে। ইতিমধ্যে ৬০০টি পরিবারকে সেখান থেকে সরানো হয়েছে বলে জানায় রাজ্য সরকার।


ভূতাত্বিকভাবে যোশীমঠ অত্যন্ত ধসপ্রবণ এলাকা। দেড় শতাব্দী আগেই অ্যাটকিনস রিপোর্ট (Atkins Report) অনুযায়ী ভমিধসের ওপরেই চামোলি জেলার যোশীমঠ দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরবর্তি সময়েও একাধিক রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানে দাড়িয়ে নির্বিচারে নির্মান হয়ে গিয়েছে যোশী মঠে। ১৯৭৬’এ একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছিল কোনও ভারী নির্মান করা যাবে না যোশীমঠে। সু্প্রিমকোর্ট চার ধাম প্রকল্পের জন্য যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল তার সদস্য পরিবেশবিদ হেমন্ত ধ্যানি (Hemant Dhyani) রিপোর্টে লিখেছিলেন যোশীমঠ ভূতাত্বিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তা জেনেও রাস্তা ও জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এনটিপিসি ও চারধাম যাত্রার জন্য যে সড়ক নির্মান করা হচ্ছে তার প্রবল বিরোধিতা করেছেন যোশীমঠের বাসিন্দারা।

Comments :0

Login to leave a comment