Junior Doctor protest

মেদিনীপুর মেডিক্যালে অবস্থান জুনিয়র ডাক্তাদের, দাবি সাসপেনশন ও এফআইআর প্রত্যাহারের

রাজ্য জেলা

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তাররা।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা। জাল স্যালাইন কাণ্ডে সিনিয়র ও জুনিয়র মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ জন জুনিয়ার পিজিটি রয়েছে ও বাকি ৬ জন সিনিয়র চিকিৎসক। জুনিয়র পিজিটিদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালীন অনস্থান করছেন তাঁরা। এই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় এফআইআর ও করা হয়েছে। তাঁদের দাবি সাসপেনশন ও এফআইআর প্রত্যাহার করতে হবে। যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হবে তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। জয়েন্ট প্লাটফ্রম অফ ডক্টর্স এই ঘটনায় আগেই বিবৃতি দিয়ে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং কর্মরত পিজিটিদের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে।  
শনিবার সন্ধ্যায় আরও এক জুনিয়র পিজিটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জন জুনিয়র পিজিটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।  অ্যানেস্থেশিয়া এবং গাইনিকোলজি বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু রোগী পরিষেবায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখেই তাঁরা ধর্মঘটের সিদ্বান্ত থেকে সরে এসে অবস্থানে বসেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যদি তাঁদের দাবি পূরণ না করা হয় তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে পথে যাবেন। 
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স'র সদস্য ডাঃ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, " পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিদের ছাত্র বলা হচ্ছে তা একেবারেই ঠিক নয়। তাঁরা এমবিবিএস পাস করে তারপর নির্দিষ্ট বিষয়ে ট্রেনিংএ আছেন। তাঁরা সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটি বড় অংশ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইনে বলা আছে পিজিটিরা স্বাধীন ভাবে কাজ করবেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পিজিটিরা কী কী রোগের চিকিৎসা ও অপরেশন করবে তানির্দিষ্ট ভাবে বলা আছে। তাঁরা চিকিৎসা করেছে বলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য প্রসাশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে যা অন্যায়।" 
ডাঃ চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, "সিরিয়াস অবস্থায় থাকা রোগীদের বাঁচানো গেছে সেটা শুধুমাত্রই সম্ভব হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের জন্য। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ছে সরকারের জন্যই। কিন্তু এই গাফিলতি ঢাকতে দায়ী করা হচ্ছে চিকিৎসকদের।"
স্বাস্থ্য দপ্তর বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তরফে বলা হচ্ছে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতি ছাড়া চিকিৎসা করবেন না। সেখানেই ডাঃ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, "সিরিয়াস কোনও রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি চোখের সামনে দেখার পরও পিজিটি ডাক্তাররা চিকিৎসা না করে বসে থাকবেন? অপেক্ষা করবেন সিনিয়র চিকিৎসকের সেটা কোনও দিনও কি সম্ভব? এই সাসপেনশন অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।"

Comments :0

Login to leave a comment