Chemical Plant Accident

রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনা দ্বিগুন দশ বছরে, শীর্ষে গুজরাট

জাতীয়

এক দশকে দেশে রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনার সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। সংসদে প্রশ্নের মুখে এই তথ্য দিতে হয়েছে কেন্দ্রকেই। 
দুর্ঘটনা হয়েছে এমন রাসায়নিক কারখানার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গুজরাটে।
প্রশ্ন উঠেছে, দেশে চালু সুরক্ষা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী নজরদারি হচ্ছে কিনা।  
দেশে এক দশকে রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। আহতের সংখ্যা ৩২। ২০১৩-রে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। 
২০১৩-তে রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল দেশে ১৩। কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০। 
কেন্দ্রের হিসেবই জানাচ্ছে, কেবল গুজরাটেই ২৪টি কারখানায় দুর্ঘটনা হয়েছে গত এক দশকে। উত্তর প্রদেশে ৩টি, আসামে ২টি এবং গোয়ায় ১টি কারখানায় দুর্ঘটনা হয়েছে। 
মন্ত্রক জানাচ্ছে, ফ্যাক্টরি আইনের আওতাতেই নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা হয়েছে। রাসায়নিক উৎপাদন কেন্দ্রে দুর্ঘটনা এড়াতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা গাইডলাইন চালু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষা আইনেও সুরক্ষা বিধি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সবই যদি হবে তা’হলে দুর্ঘটনা দ্বিগুন হলো কেন?  
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ না হলে বা কারখানায় দীর্ঘদিন ব্যবহৃত সরঞ্জাম সময়মতো না বদলানো না হলে ঝুঁকি বাড়ে। মুনাফার তাগিদে সুরক্ষা বিধি ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে বাধ্যও করা হয় শ্রমজীবীদের। 

Comments :0

Login to leave a comment