অবশেষে স্বস্তির ঝড়-বৃষ্টি কলকাতা ও দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায়। টানা একসপ্তাহ তাপপ্রবাহের পর এই ঝড়-বৃষ্টি বহু প্রত্যাশিত ছিল। যদিও ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের সিতওয়েতে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়েছে রবিবার। মোকা ঝড়ে মায়ানমারে ৩ জনের মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু তার ছিটেফোটাও প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গে। উল্টে প্রবল গরমে নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারণ মানুষের। উল্টে সোমবার থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
কিন্তু সেই তাপপ্রবাহকে দুরে সরিয়ে অবশেষে ঝড় বৃষ্টি কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা সহ দক্ষিণের একাধিক জেলায়। ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি নামে। এদিন দুপুরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বিহার থেকে বাংলার উপকূল পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকেও ঢুকছে জলীয়বাস্প। যা বৃষ্টির জন্য আদর্শ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। যার ফলে সপ্তাহের মাঝামাঝি আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইবে ঝড়ো হাওয়া।
এই দিকে আধঘন্টার ঝড়ে কার্যত কলকতার বিভিন্ন রাস্তায় গাছ উল্টে পরেছে। ফলে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভিক্টোরিয়ার কাছে রেড রোডের ওপরে গাড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে গাছ। যদিও চালক অক্ষত রয়েছেন তিনি। গাছ পড়ে যাওয়ায় যানজট রয়েছে ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন রাস্তায়। গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ লেক গার্ডেন্সেও।
Comments :0