আদানি গোষ্ঠীর সংস্থায় আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঢেলেছে এলআইসি। আদানির এই প্রস্তাবে অন্য কোনও সংস্থা সাড়াও দেয়নি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এই লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। 
সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘টাকা আপনার, বিমার পলিসি কিনেছেন আপনি, কিস্তিও দিচ্ছেন আপনি। কিন্তু সুরক্ষা, সুবিধা আর মুনাফা সবই আদানির!’’
আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন লিমিটেডের ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড কিনেছে এলআইসি। 
এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট বিতর্কের সময় আদানির শেয়ারের দর নেমে যাওয়ায় টাকা খোয়াতে হয়েছে এলআইসি-কে। ২০২৪’র ২১ নভেম্বরও, কেবল এক দিনে, এলআইসি বা জীবন বিমা নিগমের ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লোকসনা হয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর সাত সংস্থায় শেয়ারের দর নেমে যাওয়ায়।
শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশের মধ্যে, সবচেয়ে বেশি, ৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হিসেবে এসেছে বন্ড থেকে। অর্থ লগ্নির পরিভাষায় আদানি পোর্টস সংস্থার ‘নন কনভার্টিবল ডিবেঞ্চার’ কিনেছে এলআইসি। বিনিয়োগের মেয়াদ ১৫ বছর। দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল টাকা আদানি ঘরে গচ্ছিত রেখেছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা। আদানির এই লগ্নি প্রস্তাবে বিনিয়োগ করতে এলআইসি ছাড়া আর কোনও আর্থিক সংস্থা এগিয়ে আসেনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসীন হওয়ার পর গৌতম আদানির গোষ্ঠীকে একের পর এক সুবিধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক স্তরে বারবার শোরগোল হয়েছে। সংসদেও তোলপাড় হয়েছে আদানি-মোদী সম্পর্ক ঘিরে ওঠা প্রশ্নে। কোটি কোটি মানুষের টাকা রয়েছে যে আর্থিক সংস্থায়, সেই এলআইসি-কে বারবার কেন আদানির সংস্থায় টাকা ঢালতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। 
রাহুলও এই বিতর্কে বলেছেন, জনগণ সুরক্ষার খোঁজে এলআইসি’র বিমায় টাকা রাখেন। সেই সংস্থাকে কেন ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হবে?
উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষে এলআইসি কর্পোরেট বন্ডে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল