No contract-based, employee recruitment

কালীগঞ্জে চুক্তিভিত্তিক, বেসরকারি কর্মী নিয়োগ নয়, জানালো কমিশন

রাজ্য

নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের কাজে সরকারি কর্মচারী এবং আধা সরকারি কর্মচারী ব্যতীত চুক্তিভিত্তিক অথবা বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুথ লেভেল অফিসার থেকে শুরু করে নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই হতে হবে সরকারি কর্মচারী অথবা আধা সরকারি কর্মচারী। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে সিপিআই(এম) বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছিল চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগ করে ভোটের সিংহভাগ কাজ করাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এবং তার ফলেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে। সেই কারণেই বহু প্রকৃত ভোটার ভোট দিতে পারছেন না। নতুন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুটা হলেও এ রাজ্যে বিরোধীদের অভিযোগকে মান্যতা দিলেন বলা যায়। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বুথ লেভেল অফিসার থেকে শুরু করে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই হতে হবে সরকারি কর্মচারী অথবা আধা সরকারি কর্মচারী। কোনভাবেই চুক্তিভিত্তিক বা বেসরকারি কর্মচারীদের নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা যাবে না, এবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আগামীকাল থেকেই কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হতে চলেছে। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এলাকায় টহলদারি থেকে শুরু করে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার কাজে সমগ্র এলাকায় কাজ করবেন এই কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও এই কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকেই দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে স্ট্রংরুমের জন্য। পাশাপাশি আগামী ১৯ জুন নির্বাচনের দিন প্রতি বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এলাকাতেও মোতায়েন রাখা হবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে এই প্রথমবার প্রত্যেকটি বুথের বাইরে লাগানো হতে চলেছে ক্যামেরা। বুথের ভিতরে ওয়েবকাস্টিং যেমন হব বাইরেও ঠিক একই রকম ভাবেই লাইভ স্ট্রিমিং হবে এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে আর সেই ক্ষেত্রে বুথের বাইরে এই ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধিকেও নজরে রাখতে সক্ষম হবে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই মনে করছে কমিশন। একেবারেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেই কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনকে সম্পূর্ণ করতে চাইছেন নির্বাচন কমিশন আর সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সব রকম পদক্ষেপ করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। তবে সবকিছু সময়ই বলবে।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটাররা এবার নিজের মোবাইল ফোন হাতে করেই বুথে এসে ভোট দিতে পারবেন। তবে বুথের ১০০ মিটারের আওতার মধ্যে চলে এলেই সেই ব্যক্তিকে মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে দিতে হবে, প্রত্যেক বুথের বাইরে থাকবেন একজন করে বুথ লেভেল অফিসার এবং তাঁর সঙ্গে থাকবেন একজন সহকারী, বুথের ভিতর যাওয়ার আগে তাঁদের কাছে সুইচ অফ অবস্থাতেই ফোন জমা রেখে টোকেন নিয়ে ভিতরে গিয়ে ভোট দিয়ে ফেরার সময় ফের টোকেন জমা দিলেই পেয়ে যাবেন ফোন সেই সুইচ অফ মোডেই। আর এই জায়গা থেকেই নির্বাচন কমিশন এই উপনির্বাচন থেকে যে ধরনের পদক্ষেপগুলি করতে শুরু করেছে তাতে করে রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটা নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত মহড়া বলা যায়।
এদিকে, কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তিনজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে নিযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ পর্যবেক্ষক হলেন ভূপেন্দ্র সাহু। তাঁর মোবাইল নম্বর ৭০২৯২০৩৫৯৭। জেনারেল ( সাধারন ) পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন শেষ মনি পান্ডে। মোবাইল নম্বর ৯০৪৬২২৭৯৪৯। আর আয়-ব্যয়ের পর্য়বেক্ষক হলেন ড. শশাঙ্ক ওঝা। তাঁর মোবাইল নম্বর ৯২৪২০৩০১৮৪।

Comments :0

Login to leave a comment