এর উত্তরে জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের ডিওয়াইএফআই এবং সিপিআই(এম) কর্মীদের ছোট্ট জবাব, ৭০০ কিলোমিটার। সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘন্টা!
২৪ ঘন্টার কাছাকাছি সময় বাসযাত্রা করে ব্রিগেডে পৌঁছেছেন মেটেলি’র আবিদ মোল্লারা। রবিবার ব্রিগেড ভাঙার পরে তাঁদের সঙ্গে দেখা। জনা ষাটেক কর্মী সমর্থক এসেছেন। জানালেন, বিকেল পাঁচটায় রওনা দেবেন। জেলায় পৌঁছবেন সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ। যদি না রাস্তায় যানজট হয়। যেমনটা আসার সময় হয়েছিল।
সব মিলিয়ে যাতায়াতে সময় লাগবে ৪৮ ঘন্টা।
পথে আসার সময় তৃণমূলের ‘উৎপাত’ নজরে আসেনি?
মেটেলি ব্লকের সমবেত জবাব, ‘‘ওই সব দিন চলে গিয়েছে। উৎপাত করতে এলে যেই ভাষা বোঝে, সেই ভাষায় জবাব মিলত। ওরা এটা বোঝে। পঞ্চায়েতেও বুঝেছে। তাই আসার সময় কোনও সমস্যা হয়নি। যাওয়ার সময়েও হবেনা।’’
মেটেলি ব্লকের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল নবদ্বীপ। নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তিওরখালি অঞ্চল থেকে ৩টি বাস এসেছে। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিওরখালি এলাকার ৩টি আসনেই জয়ী হয়েছেন সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতে সব মিলিয়ে ২৬টির মধ্যে ৬টি আসনে জয়ী হয় লালঝাণ্ডা। নিজেদের ‘গড়’ তিওরখালি থেকে ব্রিগেডে এসেছেন আড়াইশোর বেশি মানুষ।
মেটেলির পাশাপাশি তিওরখালিও যাত্রা শুরু করল বিকেল ৫টা নাগাদ। গ্রামে পৌঁছতে পৌঁছতে কমকরে রাত ১০টা বাজবেই।
জওহরলাল নেহরু রোড শেষ হয়ে যেখান থেকে পার্কস্ট্রিট শুরু হচ্ছে, ঠিক সেইখানেও দাঁড়িয়ে ছিল সারিবদ্ধ বাস। কোনওটা যাবে বাঁকুড়া, কোনও পূর্ব, আমার কোনওটা পশ্চিম মেদিনীপুর।
তেমনই একটি বাসের সামনে আলাপ সঞ্জীব কুমার মিদ্দ্যার সঙ্গে। পেশায় শিক্ষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের ৮০জনের একটি দলকে নিয়ে এসেছেন ব্রিগেডে।
সবং পৌঁছতেও রাত হয়ে যাবে। কড়া শীতের রাত। তাপমাত্রা চোখ বন্ধ করে নামবে ১০ ডিগ্রির আশেপাশে।
যদিও সবংয়ের লড়াই কেবল শীতের বিরুদ্ধে নয়। সঞ্জীব মিদ্দ্যার কথায়, ‘‘তৃণমূল তো ভাড়া করে লোক নিয়ে আসে। আসার জন্য টাকা দেয়, খাওয়ার জন্য টাকা দেয়। বাসের ভাড়াও ফ্রি। কিন্তু আমরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে ব্রিগেডে এসেছি।’’
সবংয়ের ডিওয়াইএফআই এবং সিপিআই(এম) কর্মীদের বক্তব্য, ‘‘ব্রিগেডে আসার জন্য আমাদের ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। আমরা প্রত্যেকে ১৫০টাকা করে চাঁদা দিয়েছি। গ্রামের লোক বসে ঠিক করেছে কারা কারা বাসে উঠবে।’’
Comments :0