বিজেপি যে ধনখড়ের পাশে তা বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন কংগ্রেস নেত্রীকে সোনিয়া গান্ধীর সাথে বিদেশি ব্যবসায়ী জর্জ সোরোরসের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। এর সাথে ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়েও সরব হন তিনি।
বুধবার মল্লিকার্জুন খাড়গের সাংবাদিক সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে নাড্ডা বলেন, ‘‘গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজ্যসভার অধ্যক্ষকে অপমান করেছেন। এই ধরনের কাজ করা যায় না। এটা একটা অপরাধ। সংসদে তার ক্ষমতা নিয়ে কোন ভাবে প্রশ্ন তোলা যায় না।’’ পাল্টা খাড়গে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই সব কথা বলে আসল বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন।’’
উল্লেখ্য ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ইন্ডিয়া। পাল্টা কংগ্রেস এবং সোরোসের সম্পর্ক নিয়ে আলোনার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে এনডিএ। নাড্ডার দাবি তাঁর দাবি, কংগ্রেস-সোরোস সম্পর্কের সঙ্গে দেশের ভেতরে-বাইরের নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সোরোসের কী সম্পর্ক, তাও জানাতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিরোধীরা স্পষ্টই অভিযোগ করেন যে, ‘রাজ্যসভার সবচেয়ে বড় বিশৃঙ্খলাকারী হলেন চেয়ারপার্সন ধনখড়। উনি পরবর্তী পদোন্নতির জন্য সভায় বিজেপি মুখপাত্র হিসাবে কাজ করে চলেছেন। একারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা ছিল না বিরোধীদের কাছে।’ খাড়গে স্পষ্টই বলেন, ‘সভায় উনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন। বিরোধীদের সব নোটিশ উনি খারিজ করে দেন। কিন্তু শাসক গোষ্ঠীর সাংসদদের অবাধে বলার সুযোগ করে দেন। উনি স্কুলের হেডমাস্টারের মতো আচরণ করেন, বিরোধীদের বলার সুযোগই দেন না। ওঁর আনুগত্য সংবিধান কিংবা সাংবিধানিক ঐতিহ্যের প্রতি নয়, বিজেপি’র প্রতি। এই আচরণ সামগ্রিকভাবে দেশের পক্ষেই ক্ষতিকর হচ্ছে। একারণেই বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্তা প্রস্তাব এনেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কখনও কখনও সরকারপক্ষের ভূয়সী প্রশংসায় মেতে ওঠেন চেয়ারপার্সন। নিজেকে আরএসএস’র একলব্য বলে জাহির করেন। আসলে উনি নিজের পদকেই অমর্যাদা কর চলেছেন।’
Rajya Sabha
বিজেপি ধনখড়ের পাশে বুঝিয়ে দিলেন নাড্ডা
×
Comments :0