RG Kar

‘‘বিচারে এতো দেরি কেন’’ প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের

রাজ্য

সুপ্রিম কোর্টে 'পিছিয়ে যাচ্ছে তারিখ' হতাশ নিহত চিকিৎসকের বাবা- মা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিবিআই’য়ের ভূমিকা নিয়েও। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেছেন,‘‘ আইনের জবাব আইনের মাধ্যমেই লড়তে চাই। বিচার এতো বিলম্ব কেন। আদালতে দাঁড়িয়ে আজ মিথ্যা কথা বলেছেন সিবিআই।’’ 
কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার তরফে বলা হয়েছে তারা আমাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু তা একেবারে মিথ্যে কথা, আগে তার আমাদের বাড়িতে আসতেন, এখন ফোন করে চার্জশিট জমা সংক্রন্ত তথ্য জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ফোনে একাধিকবার ম্যাসেজ পাঠিয়েও জবাব মেলেনি। 
আইনের লড়াই আইন দিয়েই জবাব দিতে চান নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। সিবিআই’য়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেছেন, অপরাধে যদি আর কারও ভূমিকা থাকে, তাকেও খুঁজে বের করুক সিবিআই।
তাদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরজি কর মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাতে নিলেন। তারপর এই বিষটাকে নিয়ে গুরুত্ব দিলেন না। তবে আমাদের বিষটাকে নিয়ে সেই ভাবেই চিন্তা ভাবনা করতে আইন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চার মাস অতিক্রান্ত আমার আশায় ছিলাম। এদিন আবার চার মাস পিছিয়ে দিয়েছে আরজি কর মামলা শুনানি। পরিবার এদিন অভিযোগ করে বলেন সুপ্রিম কোর্টে তো এখন বিচার হচ্ছে না শুধু মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে মিনিটারিং হচ্ছে। বিচার পাওয়ার আশায় আমরা এখন মিনিট-সেকেন্ড হিসাবে দিন গুনি। সেখানে আবার তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য আমার বুঝে গেছি সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কিছু করবে না। হবে হতাশ হয়েছি, কিন্তু আশা হারাইনি। চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাবো।

আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় পিজিটি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার মামলায় এক মাস পর সপ্রিম কোর্টে হল শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন পড়ল তিন মাস পর। এদিন নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে পেশ করল সিবিআই। তাদের তরফে সলিসিটর তুষার মেহতা, মূলত তিনটি বিষয় তুলে ধরেছেন। এদিন আদালতে সিবিআই’র পক্ষে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে রাজ্য সরকারের অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে আরজি কর মামলায় দুর্নীতির তদন্তে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করা যায়নি। নোটিস না পাওয়ার যুক্তি দিয়েছেন কপিল সিবাল।  
চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা, দ্বিতীয়ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, এবং আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি। তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ ঘটনায় চার্জশিট তৈরি হয়েছে, শিয়ালদা কোর্টে এই মামলার ট্রায়াল চলছে। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বও শুরু হয়েছে। সিবিআই এদিন সুপ্রিম কোর্টে সেই বিষয়টিও জানিয়েছে। দ্বিতীয় মামলা হল তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মামলা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সিবিআই আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং প্রাক্তন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রপ্তার করেছে। এখনও তদন্ত চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment