২০০০সালের ১৫অক্টোবরে কেনিয়ার নাইরোবিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল ভারতকে। সেই টুর্নামেন্টে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে দাপটের সাথে হারিয়েও ফাইনালে ট্রফি ঘরে আনতে পারেনি। ফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শতরান করেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছিল ভারত। শচীন ও সৌরভের ব্যাট সেদিন ঝলসে উঠেছিল । মাত্র ২৬ ওভারেই ভারত তুলে ফেলেছিলো ১৪১রান। কিন্তু তারপর থেকেই পতন শুরু হয়েছিল ব্যাটারদের। ২৬.৩ ওভারে শচীনের আউটের পর ৩৮.৬ ওভারে আউট হন রাহুল দ্রাবিড়। রাহুল সেই ম্যাচে করছিলেন মাত্র ২২রান। ৪২.৩ ওভারে ১১৭রান করা সৌরভকে প্যাভিলিয়নে ফেরান স্কট স্টাইরিস। শচীনকে আউট করেন নাথান এস্টলে। ২৬৪রান করেছিল ভারত। ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। ক্রিস ক্রেইন্স ( ১০২ রান ) এবং ক্রিস হ্যারিসের ( ৪৬রান ) সৌজন্যে ওই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড জিতেছিল মাত্র ২বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে। ম্যাচের পর অবশ্য অধিনায়ক সৌরভ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডুবিয়েছিল তাদের। ২৬ওভারে যেখানে ১৪১রান করেছিল ভারত। সেখান থেকে অন্তত ৩০০ করা উচিত ছিল সেদিন ভারতের।
২০০০সালের মতো সেই একই ভুল করতে চাইবেননা রোহিত। তাই টসে জিতলে হয়তো প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতে চাইবেন রোহিত। তাদের লক্ষ্য থাকবে অন্তত যাতে ৩০০ র উপর রান করা। যাতে পরবর্তী ইনিংসে চার স্পিনারের দৌলতে দ্রুত উইকেট তোলা সম্ভব হয়। এছাড়াও বেশি রান করলে প্রতিপক্ষ দলেও চাপ থাকবে রান তোলার। ফলে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েই উইকেট খোয়াবে স্যান্টনারররা। রবিবার তাই এই পরিকল্পনাতেই খেলতে চাইবেন রোহিত শর্মারা। তবে চাপের মুখে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা কেমন পারফরম্যান্স করেন সেই ব্যাপারটিও বেশ আকর্ষণীয় হতে পারে রবিবারের মেগা ফাইনালে। শামি অবশ্য স্বীকার করেই নিয়েছেন যে একই স্টেডিয়ামে সমস্ত ম্যাচগুলি খেলায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পিচের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা ভালোমতোই অবগত। এতে বেশ খানিকটা সুবিধাই হচ্ছে তাদের।
Comments :0