সরকারের এই পরামর্শ মেনে নেওয়া থেকেই স্পষ্ট, ৩৭০ ধারা রদ হলেও উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ আটকানো সম্ভব হয়নি। বরং সেই সমস্যা যে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর পরামর্শ থেকে।
সুরক্ষা বাহিনীগুলির তরফে বলা হয়েছে, শ্রীনগর থেকে গুলমার্গের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। এই গোটা যাত্রাপথ জুড়ে রয়েছে ঘন বসতিপূর্ণ লোকালয়। এই পথ দিয়ে বিদেশী অতিথিদের নিয়ে যেতে গেলে যে বিপুল পরিমাণ সুরক্ষার আয়োজন করতে হবে, তা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই ভ্রমণ সূচিতে বদল আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় পর্যটন সচিব শুক্রবার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অতিথিদের যাতায়াতের পরিকাঠামো গত সমস্যার জন্যই ভ্রমণ সূচিতে কাটছাঁট করা হয়েছে।
যদিও প্রশাসনের একাধিক পদক্ষেপে স্পষ্ট হয়েছে, উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। দলীয় ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বুক চাপড়ালেও বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য অনুকূল নয়।
এই বাস্তবতা স্পষ্ট হয়েছে শ্রীনগরে সামরিক বাহিনীর তৎপরতাতেও। নজিরবিহীন ভাবে ডাল লেকে নৌবাহিনীর কমান্ডো বা মার্কোস বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি এনএসজিও টহল দিচ্ছে কাশ্মীর উপত্যকায়। ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন বিরোধী বন্দুকও।
এই প্রসঙ্গে পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি জানিয়েছেন, কাশ্মীরকে খোলা আকাশের নীচে জেলখানায় পরিণত করেছে বিজেপি সরকার। সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির দখল নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বেঙ্গালুরুর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুফতি জানিয়েছেন, জি-২০’র বদলে শ্রীনগরে কাশ্মীর ইস্যুতে সার্কের বৈঠক হলে কাশ্মীরের মানুষ উপকৃত হতেন। বিজেপি বলেছিল, ৩৭০ ধারা বাতিল হলে সব সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যার সমাধান দূরের কথা, এখন চীনও কাশ্মীর নিয়ে কথা বলছে। এর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, চীন, সৌদি আরব,তুর্কিয়ে’র মতো দেশগুলি শ্রীনগর বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে।
Comments :0