Bengaluru

৩৫ হাজারের স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ৮ লক্ষ, বলছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

জাতীয়

অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরমেশ্বর জানিয়েছেন, সরকারের অনুমান ছিল এক লক্ষ মানুষে স্টেডিয়ামে এবং তার আশপাশের অঞ্চলে উপস্থিত হবে ট্রফি প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই জায়গায় ৮ লক্ষ মানুষ এসে উপস্থিত হন। 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যেই ১১জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা আছে। উল্লেখ্য চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে একসাথে ৩৫ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারেন। সেই জায়গায় এই বিপুল সংখ্যায় লোকের জমায়েত কেন ছিল না প্রশাসনের পক্ষ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ভিড় যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তখন কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।

গতকাল রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পক্ষ থেকে বেলা ৩টের পর ঘোষণা করা হয় যে টিকিট ছাড়াই দর্শকরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন এবং তারা এই উৎসবে শামিল হতে পারবেন। এই ঘোষণার পরপরই বিপুল পরিমানে দর্শক হাজির হতে থাকেন সেখানে। যার জেরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। মূল অনুষ্ঠানের আগে কর্ণাটক বিধানসভার বাইরেও প্রায় এক লক্ষ মানুষ জড়ো হন, সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল দেখা করেন আইপিএল জয়ী দলের সদস্যদের সাথে। 

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গতকাল স্টেডিয়ামে আসার জন্য মেট্রোয় প্রায় ৮লক্ষ ৭০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যখন বিপুল পরিমানে টিকিট বিক্রি হচ্ছে স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য তখন কেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেই কথা রাজ্য সরকারকে জানালো না, তাহলে কি দুই পক্ষের মধ্যে কোন সমন্বয় ছিল না?

 

Comments :0

Login to leave a comment