ত্রিপুরায় সুস্থ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি তুলল ছয়টি রাজনৈতিক দল। সিপিআই(এম), সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই(এম এল) এবং কংগ্রেস একযোগে এই দাবি তুলেছে।
মঙ্গলবার ‘ত্রিপুরায় শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক নাগরিকদের প্রতি আবেদন’ শীর্ষক লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে ছয়টি দলের পক্ষ থেকে। সিপিআই(এম)’র পক্ষে রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআই’র পক্ষে যুধিষ্টির দাস, আরএসপি’র দীপক দে, ফরওয়ার্ড ব্লকের পরেশ সরকার, সিপিআই (এম এল) পার্থ কর্মকার এবং কংগ্রেসের বীরজিৎ সিন্হা সই করেছেন আবেদনপত্রে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি’র পাঁচ বছরের শাসনে রাজ্যের গণতন্ত্রকে অপহরণ করা হয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা আক্রান্ত। একদলীয় স্বৈরশাসন কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এবং বিশেষ করে পুলিশের একাংশের ভূমিকা শাসক দলকে সংবিধানবিরোধী অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সহায়তা করছে।
বলা হয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বীভৎস চেহারা নিয়েছে। শাসক দলের অনুরাগী ও মদতপুষ্ট বলে অপরাধীদের কেশাগ্র স্পর্শ করছে না পুলিশ। আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পাহাড় তৈরি হয়েছে। আক্রান্তদেরই গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
আবেদনে ছয় রাজনৈতিক দল বলেছে, এই পরিস্থিতি ত্রিপুরার শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক মানুষ মেনে নিতে পারেন না বলেই স্বাক্ষরকারী দলসমূহের দৃঢ় বিশ্বাস। এই অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম করার বিরুদ্ধে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-ধর্ম-সম্প্রদায়ের ঊর্দ্ধে উঠে সকল মানুষকে স্বঃতস্ফূর্ত ও ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে, এর অবসানে এগিয়ে আসতে আন্তরিকভাবে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা নির্বাচনকে ত্রিপুরায়। সংবাদমাধ্যমে এদিন জিতেন্দ্র চৌদুরী বলেন, গত ৫৮ মাস ধরে ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই(এম) বিজেপি’র এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
মঙ্গলবার ঐতিহাসিক জনশিক্ষা দিবসে আগরতলায় সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর দশরথ দেব স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে সভা হয়েছে। মিছিলও হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
Comments :0