২০২০ সালে সংসদে কোন আলোচনা ছাড়া যেই নয়া শিক্ষা নীতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পাশ করায় তার অন্যতম দিক হলো স্নাতকের পাঠ্যক্রম তিন বছরের বদলে চার বছর করার।
আগামী জুলাই মাস থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই চার বছর স্নাতকের নতুন পাঠ্যক্রম শুরু করতে চায় রাজ্য। ইউজিসি অনেক আগেই এই বিষয় চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে। এবার উদ্যোগ নিল রাজ্য। সূত্রের খবর উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করার জন্য।
শিক্ষা দপ্তরের একটা অংশের বক্তব্য উচ্চ শিক্ষায় নতুন নিয়ম না মানলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসি অনুদান পাওয়া সমস্যা হতে পারে। তবে শিক্ষা দপ্তরের এই অজুহাত উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েবকুটার নেতৃত্ব কেশব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ইউজিসি’র অনুদান না পাওয়া একটা অজুহাত। অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য অনুদান বন্ধ হতে পারে। রাজ্য সরকার আসলে বিজেপি আরএসএসের নয়া শিক্ষা নীতিকে মান্যতা দিতে চাইছে।’’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘‘আমরা কখনও এই নয়া শিক্ষা নীতিকে মানিনি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যা যা বলা হয়েছে তা মেনে চলার মতো পরিকাঠামো আমাদের রাজ্যে নেই।’’
প্রথম দিকে নয়া শিক্ষা নীতির বিরোধীতা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষা নীতি তৈরি করার জন্য কমিটিও তৈরি করা হয়। ব্যাস তারপর আর কিছু হয়নি।
জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধীতা করে একাধিক বার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে এসএফআই। চলতি সপ্তাহের সোমবার বিধানসভায় শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রের সাম্প্রদায়িকীকরণ রোধে অবিলম্বে বিকল্প শিক্ষানীতি রূপায়ণের দাবি জানানো হয়েছে। এসএফআই নেতৃত্বের কথায় সরকার জদি বিকল্প নীতি তৈরি করতে না পারে তাহলে তারা বিকল্প নীতি তৈরি করতে সরকারকে সাহায্য করবে।
Comments :0