আরও ৭৯ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা। অন্তত ২২৮ জন গুরুতর আহত। তার মধ্যে ৯ জনকে হত্যা করেছে যাঁরা অসহায় অবস্থায় সাহায্য চাইছিলেন।
গাজা সিটি ঘিরে ফেলে জমির দখল নিচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। হুমকি দিয়ে তাড়ানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় গাজা সিটি এবং আশপাশের এলাকা থেকে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছেন। সোশাল মিডিয়ায় এমনই এক উদ্বাস্তুর কথা বেরিয়ে পড়েছে। মাথায় বাসনপত্র আর পিঠে বোচকায় সামান্য সম্বল নিয়ে চড়া রোদের পরিবার সহ অজস্র মানুষের সঙ্গে হেঁটে চলেছেন। কেঁদে ফেলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের রক্তের কোনও দাম নেই, আমাদের চোখের জলের দাম নেই। আমাদের কেবল ঘরবাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়নি। আমাদের সম্মান, পরিবারের সম্মান মর্যাদা সব কিছু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মানবতা বলে আ কিছু নেই।’’
গাজা এখন হত্যাপুরী। বিশ্বময় নিন্দা, ধিক্কারের মুখে ইজরায়েল। ছাড় পাচ্ছে না প্রধান মদতদাতা আমেরিকাও। গাজার জনতা আতঙ্কে, অনাহারে। বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অনাহারে, অপুষ্টির ফলে। মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। এমনকি হাসপাতালে সদ্যোজাতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই।
ইজরায়েলের সেনা দক্ষিণ অংশে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। স্রোতের মতো মানুষ হাঁটছেন। আবার ক্লান্ত, শ্রান্ত অনেকে থেকে যাচ্ছেন।
প্রায় ৪ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় গাজা সিটি ছেড়ে দক্ষিণের উপকূলবর্তী এলাকা আল-মাওয়াসির দিকে চলে যাচ্ছেন। ইজরায়েলের সেনা দাবি করেছে হামাস ভেঙে পড়ার মুখে। শাসানি আর আক্রমণের দায় এড়াতে চেয়ে সেনা বলেছে যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরেই বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গাজার আল-শিফা এবং আল-আহলির হাসপাতালে হামলার ফলে ১৯ জন মানুষের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই নিয়ে প্রায় তিনবার হামলা হয়েছে শিশুদের হাসপাতালে। হামাস এই আগ্রাসনকে যুদ্ধ অপরাধ বলেছে।
গাজায় মানুষের জরুরি প্রয়োজন অর্থাৎ খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এমন অজস্র মুখের একজন, খান ইউনুসের নেমান আবু মুখ খুলেছেন। ২০২৩’র অক্টোবরের পর থেকে ১১ বার ঘর ছেড়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। বলেছেন, ‘‘আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছি না কেবল। আসলে আমরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে চলেছি।’’
Gaza Exodus
‘মৃত্যুর মুখে চলেছি’: লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর স্রোত গাজায়

×
Comments :0