Body Recovered

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিখোঁজ যুবতীর দেহ উদ্ধার সন্দেশখালিতে

রাজ্য জেলা

হাত পা বাঁধা অবস্থায় আদিবাসী যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শন্দেশখালিতে। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ  খুন করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ন্যাজাট থানার কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারা এলাকায়। ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা এখনও পষ্ট জানা যায়নি।
মৃত যুবতীর মা জানিয়েছেন, ‘‘গ্রামে একটি কির্তনের আসর বসে সেখান থেকে আমি আগেই বাড়িতে চলে আসি। কারণ আমাকে মেয়ে বলেছিল তুমি যাও, আমি আসছি। কিন্তু তার পর অনেক সময় পার হয়ে গেলেও মেয়ে না ফেরায় ওর খোঁজে শুরু করি। তবুও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করি। এদিন সকালে পুকুরে দেহ ভাসছে এই খবর শুনে ছুটে এসে দেখি ওর দেহই ভাসছে।’’ তাঁর অভিযোগ মেয়েকে পরিকল্পনা মাফিক ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের রাড়িতে কাজ করতেন ওই যুবতী। তিনদিন আগে এলাকায় একটি কির্তনের আসর বসে। সেখানে যায় ওই যুবতী ও তাঁর মা। গিয়েছিলেন স্থানীয় ওই বিজেপি নেতাও। সেখান থেকেই নিখোঁজ ছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া ওই যুবতী। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। শুরু হয় এলাকায় খোঁজাখুঁজি। সেই রাতে বন্ধুদের কাছেও খোঁজখবর নেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। যুবতীর পরিবার ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরও করেন। কোনও খোঁজ মেলেনি মেয়ের। এদিন বাড়ির অদূরে ওই বিজেপি নেতার বাগান বাড়ির পুকুর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেহ ভাসতে দেখা গেলে স্থানীয়রা ন্যাজাট থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। যুবতীর কোমড়ে ইট বাঁধা ছিল। পুকুরে দেহ ভেসে উঠেছে এই খবর পেয়ে মৃতের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  দেহ শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরিবারের দাবি করেন তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করে খুন করা হতে পারে এই অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।  

Comments :0

Login to leave a comment