Myanmar army airstrike killed 100

উগ্রপন্থী তকমা দিয়ে শিশু সহ স্থানীয়দের গুলি মায়ানমার সেনার

আন্তর্জাতিক

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অশান্ত, নেই একটি সুস্থ্য প্রশাসন। রাজনৈতিক টানাপড়েন চলছে দীর্ঘ দুই বছর ধরে। কিন্তু তার পরেও নিজেদের আনন্দের রসদ হিসেবে নাচ-গান করতে স্থানীয় শিশু-কিশোররা একটি হলে জমায়েত করেছিল। সঙ্গে ছিলেন বহু মানুষ। মায়ানমারের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সাগাইং এলাকা সেদিন ছিল কিঞ্চিত আনন্দের আবহ। কিন্তু সেই মুহুর্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আকাশ পথে আচমকাই হামলা করতে থাকে মায়ানমার সেনা। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে না বুঝতে পেরে নিজেদের প্রান বাঁচাতে ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদেরও ছাড়েনি জুন্টা সরকার। তাদেরও লক্ষ্য করে গুলি বর্ষিত হতে থাকে। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০০ জনের। যদিও মোট মৃতের সংখ্যা এখনও আজানা তবে প্রশাসনের তরফে ১০০ জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৬জন শিশু রয়েছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় এই ঘটনাটি চলতি সপ্তাহেরই কোনও একদিন ঘটেছে তবে বুধবার অর্থাৎ ১২ এপ্রিল ঘটনাটি প্রকাশ করে সে দেশের স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম।


২০২১’এ কোভি-১৯ অতিমারীর আবহেই সে দেশে নির্বাচিত সরকার সরিয়ে সেনা অভ্যুথান হয়। নোবেল জয়ী আন সান সু চি ও তার প্রসাশনের নেতা মন্ত্রীকে গৃহবন্দী রেখে দেশের ক্ষমতা দখল করে সেনা প্রধান। সেনার এই আচরনের তীবর প্রতিবাদ করেছে সে দেশের মানুষ। দিনের পর দিন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয় দেশের মানুষ। সেই সময় সেনার গুলিতে মৃত্যুও হয়েছে বহু মানুষের। 


সাগাইং এলাকা মায়ানমারের প্রাক্তন নেত্রী আন সাং সু চি’র সংগঠন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জুন্টা সরকার ক্ষমতা দখলের পর সু চি’র দলকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষনা করেছে। বিমান হানার পর জুন্টা প্রশাসনের তরফে জও মিন তুন সেনা সংবাদ মাধ্যম মিয়াওড্ডিতে (Myawaddy) বলেন ‘সাগাইংয়ে উগ্রপন্থীদের একটি সংগঠন প্রবল ভাবে কাজ করছে। দেশের সুষ্ঠ পরিবেশ ও সরকারকে ফেলার একটি গভীর চক্রান্ত চালানো হচ্ছিল সেখানে। সেই সংগঠনেরই একটি মিটিং ছিল। জুন্টা সরকার খবর পেয়ে সেখানে হামলা চালায়। উগ্রপন্থীদের সাহায্য করায় কিছু নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে।’ জও মিন তুন দাবি করেছেন মৃতদের মধ্যে অনেকের কাছেই অস্ত্র ছিল। অনেকেই তাদের সংগঠনের পোষাকও পরেছিল। তবে সেনার তরফে মুলত তাদের অস্ত্র ভান্ডারেই আক্রমন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষের ওপর এই আক্রমনে তীব্র নিন্দা করেছেন জাতীসংঘের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্টনিও গুটেরস। এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমন থেকে বিরত থাকতে হবে বলে জুন্টা সরকারকে। এমনকি সারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেভাবে মায়ানমারের সেনা সরকার প্রচার চালাচ্ছে তা থেকেও বিরত থাকতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন গুটেরস।

Comments :0

Login to leave a comment