MUKTADHARA DHUSARBELA MANISH DEB 4 JUNE

মুক্তধারা ধূসরবেলা রাষ্ট্রের কুস্তি

সাহিত্যের পাতা

MUKTADHARA  DHUSARBELA  4 JUNE

ধূসরবেলা

জলাঞ্জলি

মনীষ দেব

গঙ্গা- যমুনা - সরস্বতী — কৃষ্ণা - কাবেরী - গোদাবরী — তিস্তা - তোর্সা'র স্রোতে ভেসে যাবে পদক, ভেসে যাবে বীরাঙ্গনারা, ভুলুন্ঠিত হবে পদকজয়ীরা — কান্নায় ভেসে যাবে চোখ মুখ। রাষ্ট্রের আসফালনে শুকিয়ে যাবে — গঙ্গার বুক — যমুনার মুখ — সরস্বতীর চোখ কারণ রাষ্ট্র এখন অর্থনগ্ন গুরুদের দখলে — দি গ্রেট মহাগুরু সার্কাস চলছে — 

আপনি, পদক জিতলে
আপনি আমার সার্কাসের সেরা খেলোয়াড়। 
আপনি রাষ্ট্রের হাতে ধর্ষিত হয়ে প্রতিবাদ করলে
আপনি রাষ্ট্রেদ্রোহী।
আপনি প্রতিবাদ করে লাঞ্চিত হলে 
আপনি দেশদ্রোহী।

এবং দেশ নীরব থেকে নীরবতায় ডুবে যাবে, তাতে দেশের পদক, দেশের সম্মান ঢোবে ডুবুক, সাক্ষী মালিক - বীনেশ ফোগাট - বজরং পুনিয়াদের সম্মান জলাঞ্জলি যায় যাক। আমরা দেশবাসী এখন - দি গ্রেট মহাগুরু সার্কাসে আছি – নোট বন্দীতে আছি – নতুন নোটে আছি – আবার নতুন মোট বাতিলেও আছি – চারশো টাকার গ্যাস, বারোশো টাকা – কী আনন্দ। চাকরী নেই কিন্তু একটা সংসদ ভবন থাকতে আরেকটা সংসদ ভবন – মহানন্দ, খেলোয়াড়রা অপমানিত হচ্ছে – আরো আনন্দ। সহ খেলোয়াড়রা - বিশিষ্টরা আত্মমগ্ন!
তবুও – একটা কপিল – একটা সানি – একটা কুম্বলে – একটা মদনলাল – একটা সুনীল ছেত্রী – একটা হরভজন – একটা সেহবাগ – একটা বিনি ছাড়া তিরাশী বিশ্বকাপ জয়ী মহিন্দর অমরনাথরা না থাকলে তো দেশটাই থাকতো না।

লজ্জা
লজ্জা
লজ্জা
এবং লজ্জায় নিমজ্জিত একটি জাতি — 
— আর নীরজ চোপড়া তোমার বর্শার ফলকের মুখে এখন রাষ্ট্র। 
  দেশ কাঁপতে থাকুক, তোমার ছুঁটে যাওয়া বর্শার অভিমুখে।

Comments :0

Login to leave a comment