Gajol fire

গাজোলে ভষ্মিভূত আটটি দোকান
ব্যাবসায়ীদের কথায় জমি দখলের ছক রয়েছে এই অগ্নিকান্ডের পিছনে

জেলা

গতকাল মাঝরাতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে আটটি দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার গাজোলে। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে গোটা গাজোল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা মানুষজনের। বিদ্যুতের দাবিতে এলাকার মানুষজন যেমন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তার সাথে এই ঘটনার পর এলাকায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জোড়ালো হয়েছে।


বুধবার রাত ১২টা নাগাদ গাজোলের ধর্মতলা এলাকায় পাওয়ার হাউস সংলগ্ন একটি কাঠের আসবাবপত্রের দোকানে প্রথম আগুন লাগে। আগুন দেখতে পেয়েই বাইরে বেরিয়ে আসেন আশপাশের মানুষজন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা আরও সাতটি দোকানে। পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায় আগুন লাগায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় আরও বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। 
রাতে খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলেও তার আগেই পুড়ে যায় সব কিছু। দমকলকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে হাত লাগান। বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতের বেলায় ঘটনাটি ঘটায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা এলেও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতে তারা পারেনি।


ক্ষতিগ্রস্ত একটি দোকানের মালিক শচীন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘গতকাল রাত ১২টার সময় আগুন দেখতে পাই। আমার কাঠের আসবাবপত্রের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দোকান থেকে কিছু বার করা যায়নি। মোট আটটি দোকান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন কীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াব, বুঝতে পারছি না।’’ ক্ষতিগ্রস্ত আরও এক ব্যবসায়ী শুভম কীর্তনীয়ার বলেন, ‘‘আমাদের এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। কাদের সঙ্গে এই ঝামেলা তাদের নাম এখনই বলতে চাইছি না। তবে আমাদের ধারণা, এটা ওদেরই কাজ। আমরা চাই, তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যেন সঠিক বিচার পাই। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দমকল আসার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে কিছু সাহায্য পেলে ভালো হয়। গাজোলে মাঝেমধ্যেই আগুনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বারবার দাবি করা সত্ত্বেও এখানে কোনও দমকল কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। জানি না, আর কত ক্ষতি হওয়ার পর দমকল কেন্দ্র পাবো।’’

Comments :0

Login to leave a comment