ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত বার্মায় এখনও জারি রয়েছে উদ্ধার কাজ। তারমধ্যে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বার্মা। শুক্রবার ফের ৪ দশমিক ০ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০.৫৯ মিনিটে মধ্য বার্মায় ৫.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয় অঞ্চলের উন্ডউইন শহর থেকে প্রায় পাঁচ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীরে। বার্মার জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে ২.৮ থেকে ৭.৫ মাত্রার ১১২টিরও বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে বার্মায়। ২৮ মার্চের পর এই আফটারশকগুলি অনুভূত হয়। বার্মা প্রশাসন জানিয়েছে এখনও প্রর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪৯ জন ছাড়িয়ে গেছে। ৫ হাজার ১৭ জন আহত এবং ১৪8 জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে বেসরকারি মতে এই সংখ্যাটি আরও বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও উদ্ধার কাজ জারি রয়েছে। বার্মার সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গত ২৮ মার্চের ভুমিকম্পের জেরে ৬ হাজার ৭৩০টি টেলি যোগাযোগ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৯৯টি মেরামত করা হয়েছে।
এদিন বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভুত হয়েছে বাংলাদেশেও। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প কেঁপে উঠে দেশটি। দেশটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রামগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, সহ বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভব হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ২৩ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয় ত্রিপুরাতেও। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশে ২৪.০৫ অক্ষাংশ এবং ৯১.৩৭ দ্রাঘিমাংশে ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তাছাড়াও, ত্রিপুরা সহ মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে, সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর এখনো মিলেনি।
Earthquake
ফের ভূমিকম্প বার্মায়, কম্পন বাংলাদেশ, ত্রিপুরাতেও

×
Comments :0