মোদী সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পের বেসরকারিকরণ চাইছে। দেশ রক্ষার স্বার্থে প্রতিরক্ষা শিল্পকে রক্ষা করতে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির শ্রমিক কর্মচারীরা লড়াই করছেন। এই সরকারি শিল্পের সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা জড়িত। এই শিল্পের বেসরকারিকরণ রুখতে হবে।
শুক্রবার এ কথা বলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিজ মজদুর ইউনিয়নের উদ্যোগে কারখানায় অনুষ্ঠিত এক রক্তদান শিবিরে যোগ দেন তিনি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বা সরকারি অস্ত্র ও সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কারখানা বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে দিয়েছে মোদী সরকার। সাতটি কর্পোরেশন গড়ে তার আওতায় ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিকে নিয়ে গেছে। প্রতিরক্ষা শিল্পের বেসরকারিকরণের এটি প্রথম পদক্ষেপ। তার বিরুদ্ধে এই শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীরা লড়াই করছেন। মুখে দেশপ্রেমিক সাজলেও মোদী সরকার দেশবিরোধী নীতি নিয়ে সরকার চালাচ্ছে। একটা নতুন শিল্প আনতে পারে নি। এখন শিল্প বেচে দিচ্ছে।’’
এ রাজ্যে চারটি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির ওয়ার্কস কমিটির নির্বাচনে বামপন্থীরা বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শ্রমিক কর্মচারীরা বুঝতে পেরেছেন এই শিল্পের বেসরকারিকরণ রুখতে বামপন্থীরা লড়াই করছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে শ্রমিক কর্মচারীরা প্রত্যাখান করেছেন।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই রাজ্যে গত বারো বছরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে তৃণমূল। দিল্লিওয়ালাদের প্রশ্রয় পাচ্ছে এই দল। কোর্টের সুরক্ষা না থাকলেও দিল্লির সরকারের সুরক্ষা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তদন্ত এড়িয়ে যেতে সুরক্ষার জন্য এক আদালত থেকে আরেক আদালতে দৌড়াচ্ছেন।’’
তনি বলেন, ‘‘দেশ বাঁচাতে বিজেপি-কে তাড়াতে হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে তৃণমূলকে তাড়াতে হবে। আমাদের দেশের সংবিধান রক্ষা করতে হবে।’’
রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জি, ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিজ মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়, সভাপতি দেবজ্যোতি বোস, প্রমুখ। শিবিরে ২৪৭ জন রক্তদান করেন।
Comments :0