হোমের চার দেওয়ালের মধ্যেই ভাই ফোঁটায় মেতে উঠল জলপাইগুড়ি কোরক হোমের আবাসিক কিশোররা। এই আবাসিক হোমে রয়েছে ১২৯ নাবালক। তাদের মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী দেশের কিশোররাও।
জলপাইগুড়ির কোরক হোমের আবাসিকরা বিভিন্ন মামলার কারণে দীর্ঘদিন এখানে রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ ছাড়াও নেপাল, ভুটান, বার্মা, বাংলাদেশের আবাসিকরাও রয়েছেন এই হোমে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণেই তাদের ছবি প্রকাশ করা যায় না।
গত ২০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন আবাসিক কিশোরদের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করে চলেছে জলপাইগুড়ি শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্পন্দন’। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ জ্বালান শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার পান্থ দাশগুপ্ত, অধ্যাপক রূপণ সরকার, উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ওএসডি শুভাশিস ঘোষ। অলশ নেন হোমের সুপার গৌতম দাস সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আয়োজক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্পন্দন’র তরফে সভাপতি সুরজিৎ দেববর্মন, সহ-সম্পাদক অঞ্জন ঘোষ জানান ২০০৪ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দপ্তরের অধীন কোরক হোম। এলাকার বোনেরা ফোঁটা দিয়ে আসছে এই আবাসের ভাইদের।
বোনেরা আবাসিক ভাইদের হাতে ফুটবল উপহার দেন। আবাসিক ভাইয়েরা তাদের আঁকা ছবি ও চকলেট তুলে দেন।
Comments :0