HARYANA CPI(M)

‘ইন্ডিয়া’-কে জয়ী করুন, হরিয়ানার মহল্লায় প্রচারে সিপিআই(এম)

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

হরিয়ানার এলাকায় এলাকায় চলছে যৌথ প্রচার।

জয়ী করতে হবে ‘ইন্ডিয়া’ প্রার্থীদের। হারাতে হবে ভাজপা-কে। হরিয়ানায় এই প্রচারে তীব্রতা বাড়ালো সিপিআই(এম)। হরিয়ানায় নির্বাচন ২৫ মে। 
এর মধ্যেই সভা হয়েছে ভিওয়ানিতে। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের ডাকে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে হয়েছে সভা। হিসার থেকে গুরগাঁও, নিজেদের শক্তি অনুযায়ী সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে সিপিআই(এম)।
২০১৯’র নির্বাচনে রাজ্যের ১০ আসনের সবক’টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সব আসনে ভোটের হার ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। সে সময়ে বালাকোটে বিমানহানা আর পুলওয়ামায় সিআরপিএফ’র কনভয়ে বিস্ফোরণকে প্রচারের মুখ্য বিষয় করেছিল বিজেপি। পাঁচ বছরে পুলওয়ামা বিস্ফোরণের কিনারা হয়নি।
হরিয়ানায় সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য প্রেমচন্দ্র বলেছেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে হরিয়ানায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কৃষক আন্দোলন, মহিলা পালোয়ানদের ওপর নিপীড়ন। সেই সঙ্গে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের মারাত্মক দমন।’’ 
হরিয়ানার নুহতে গোরক্ষার নামে সমানে উসকানি চালিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস। ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে। ভোট সংহত করার চেষ্টা করেছে গেরুয়া বাহিনী। তবে পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। বিজেপি-কে লোকসভা ভোটের আগে বদলাতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও তিন নির্দল বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বিজেপি সরকার।
সিপিআই(এম) নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন, ‘‘এখনই হওয়া উচিত নির্বাচন। এই সরকার চলতে দেওয়া মানে বিধায়ক কেনাবেচায় অনুমতি দেওয়া। হরিয়ানায় এবাভে রাজ চালাতে পারবে না বিজেপি।’’ 
বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির মধ্যে কংগ্রেসই এরাজ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। চালিয়েছে সরকারও। কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন হয়েছে পানীয় জলের দাবিতেও। হরিয়ানায় অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীদের আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা বামপন্থীদের। তাঁদের আন্দোলনে দমনও থাকছে প্রচারের অনেকটা অংশ জুড়ে। 
গ্রামে শহরে ছোট বড় সভায় সিপিআই(এম) বলছে, কৃষক-মজদুর-মহিলা-সম্প্রীতি-সামাজিক ন্যায়ের শত্রু বিজেপি, মানে ভাজপা। বাঁচাতে হবে খেতমজুরদের, কৃষকদের। হরিয়ানায় রেগায় কাজের দিনের গড় ৩৩ দিন বছরে। কারণ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কমেছে বরাদ্দ। দেশেও গড় মাত্র ৪৭ দিন। ২০২২’র মধ্যে সবার পাকা বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ লক্ষ আবেদন পড়ে রয়েছে, ঘর হয়নি। জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে কর্পোরেটের স্বার্থ মাথায় রেখে। কৃষক, খেতমজুরদের রোজগার খেয়ে নিচ্ছে বিজেপি। হারাতে হবে এই শক্তিকে।

Comments :0

Login to leave a comment