Clay Lamp Diwali

দীপাবলীর আগেও স্বস্তিতে নেই প্রদীপ তৈরির কারিগররা

রাজ্য

বৈদ্যবাটির মৃৎশিল্পীরা সামান্য রোজগারের আশায় প্রদীপ তৈরি করছেন।

অভীক ঘোষ

দীপাবলী মানেই আলোর উৎসব হলেও মৃৎশিল্পীরা আছেন সেই অন্ধকারে। আলোর উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দীপাবলী পালন করতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন ছিল। সেই চল এখনও উঠে যায়নি। তবে এলইডি আলোর সময়ে অনেকটাই দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে মাটির প্রদীপ। প্রদীপ তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তারদের জীবন খানিকটা প্রদীপের নিচে কালো অন্ধকারের মতো। 

এই মৃৎশিল্পীদের দাবি, মাটি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে চাহিদা থাকলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, অনেকে এই কাজ ছেড়ে অন্য কাজে চলে গিয়েছেন। সরকার যদি সাহায্য করে এই কাজের সঙ্গে আরও বহু মানুষ যুক্ত হবেন।

মৃৎশিল্পী কানাই পাল বলেন, ‘‘প্রদীপের চাহিদা ভালো আছে। আমাদের ছেলেরা এই কাজে আসতে চাইছে না। কারণ সরকার আমাদের পাশে নেই৷ মাটির লরি আসছে, তাতে পয়সা দিতে হচ্ছে। সেই খরচ আমাদের ঘাড়ে চাপছে। লাভ সেভাবে হচ্ছে না। ছোটবেলা থেকে করে আসছি। হাজার প্রদীপ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’’ 

চাহিদা আছে তবে জোগান নেই, কারণ কাজের লোক সংখ্যায় কম। একটা সময় হুগলির বৈদ্যবাটির পালপাড়ায় প্রতি ঘরে ঘরে কালীপুজোর আগে তৈরি হতো মাটির প্রদীপ। সেই প্রদীপ যেত জেলা ছাপিয়ে জেলার বাইরের বাজারে। তবে এখন পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা অনেকেই মাটির প্রদীপ বানানো বন্ধ করে দিয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকটি ঘর রয়েছে যেখানে তৈরি হচ্ছে দীপাবলীর মাটির প্রদীপ। 

মৃৎশিল্পী রামবিলি পন্ডিত বলেন, ‘‘পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ প্রদীপ এবারে তৈরি হচ্ছে। মাটি, কাঠ কয়লার দাম বাড়ার কারণে সেইভাবে আয় হচ্ছে না। সারাদিনে বারো থেকে তেরো ঘণ্টা কাজ করি। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার হয়। কালীপূজো দীপাবলি এলে বেশি পরিশ্রম করলে বেশি পয়সা পাওয়া যায়। সরকারি কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। সরকারের উচিত সহায়তার কিছু ব্যবস্থা করা।’’

Comments :0

Login to leave a comment