সিপিআই(এম)’র প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ছেলের মৃতদেহ খুঁজে পেলেন মা। উড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ ছিলেন পূর্বস্থলীর নিমদহ গ্রামের মনজুর আলী মন্ডল (৩০)। নিমদহ গ্রামের বাপি পন্ডিতের (৩১) মৃতদেহ গ্রামে ফেরার পর আর স্থির থাকতে পারেননি মঞ্জুরের মা। তিনি তার দুই ভাইকে নিয়ে রওনা দেন বালেশ্বরে। কিন্তু সেখানে বহু খোঁজাখুঁজির পর মঞ্জুর কোন সন্ধান না পেয়ে তারা বাড়ি ফেরার কথা ভাবতে শুরু করেন। ঠিক সেই সময়ে সিপিআই(এম)’র পূর্ব বর্ধমান জেলা পার্টি থেকে ১৬৯টি মৃতদেহের ছবির তালিকা পান পূর্বস্থলীর পার্টি নেতা বিন কাশেম। তিনি সেই তালিকা থেকে ১৫৯ নম্বরের মৃতদেহকে নিখোজ মঞ্জুর আলী মন্ডল বলে চিহ্নিত করেন। হোয়াটসঅ্যাপে সেই ছবি পাঠানো হয় উড়িশায় থাকা তার মায়ের কাছে।
পাশাপাশি ফোন নাম্বার দিয়ে সেখানকার সিপিআই(এম) নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। সেই মতো সেখানকার পার্টি নেতৃত্ব অনুসন্ধান করে দেখেন যে মঞ্জুর আলী মন্ডলের মৃতদেহ বালেশ্বর থেকে ভুবনেশ্বর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে মৃতদেহ নিয়ে তার মা ও নিহতের দুই মামা পূর্বস্থলীর রওনা হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার রাত্রি দশটা এগারোটার মধ্যে মৃতদেহ পূর্বস্থলীতে এসে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই খবর পেয়ে সোমবার সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অঞ্জু কর, পূর্বস্থলীর পার্টির নেতা বিন কাশেম নিমদহ গ্রামে যান।
Comments :0