‘লাল ডাইরি’ এবং ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’। নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারানোর জন্য এই দুই-ই বিজেপি’র ষড়যন্ত্রের অংশ। রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে এই মর্মে বিজেপি’কে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
রাজস্থানেই নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠালো নির্বাচন কমিশন।
প্রচারে এ রাজ্যে কংগ্রেস জোর দিয়েছে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা এবং গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৪০০ টাকায় বেঁধে রাখার ওপরও।
রাজস্থানে কয়েক দফায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রের ইডি। গেহলটের ঘনিষ্ঠদের জেরাও করেছে ইডি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ‘লাল ডাইরি’-র প্রসঙ্গে বলেছেন নির্বাচনী প্রচারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও ওই প্রসঙ্গে বলেছেন।
গেহলট এদিন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বলে চলেছেন ‘লাল ডাইরি’ প্রসঙ্গে। অথচ তদন্তকারী ইডি কোনও প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করতে পারল না। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে পারল না। আসলে উদ্দেশ্যে ছিল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেলকে গ্রেপ্তার করা। কিন্তু সেটা করে উঠতে পারেনি।’’
ছত্তিশগড়ে ভোট হয়েছে দু’দফায় ৭ এবং ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানে ভোট ২৫ নভেম্বর। ইডি এবং আয়কর দপ্তর রাজস্থানে ৫০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। এদিনই রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, ‘‘গেহলট নির্দোষ হলে নিজে তদন্ত করাচ্ছেন না কেন।’’
গেহলট বলেছেন, ‘‘এই ধরনের তদন্ত হওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে।’’
৫ নভেম্বর মহাদেব বেটিং অ্যাপ তদন্তে মোট ২২টি জুয়া খেলার অ্যাপ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। গেহলট বলেছেন, ‘‘এদের উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করা। ষড়যন্ত্র এবং বিভ্রান্তি, এই দুইকেই হাতিয়ার করে রাজস্থানে ভোট জিততে নেমেছে বিজেপি।’’
শেষ লগ্নে মন্তব্য এবং পালটা মন্তব্যের ভিড় রাহুলকে কমিশনের নোটিস দেওয়া নিয়েও। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠে ছিলেন মোদী। ভারত হেরে যায়। রাহুল তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন। জনতার ওপর বোঝা চাপিয়ে কর্পোরেটকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ তুলে পকেটমার বলেছিলেন। দুই মন্তব্যের জন্য এদিন রাহুলকে নোটিশ ধরিয়েছে কমিশন। নোটিশে বলা হয়েছে একটি জাতীয় দলের শীর্ষস্তরের নেতার মুখে এমন মন্তব্য বেমানান। এর আগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও নোটিশ ধরিয়েছে কমিশন।
কংগ্রেসের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদী যে অসত্য কথা বলছেন, অন্যদের অবমাননা করছেন, সে বেলায় কমিশন চোখ বুঁজে থাকে কেন। প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে এসে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। বাবার মতো শচীনকেও কংগ্রেস কোণঠাসা করছে বলে অভিযোগ তোলেন।
গেহলট বলেছেন, ‘‘মোদী আসলে গুজ্জর সম্প্রদায়কে কংগ্রেসের ওপর রুষ্ট করতে চেয়েছেন। শচীন পাইলট সম্পর্কে উনি কোনও ভালো কথা তো বলেন না!’’
Comments :0