High Court on panchayet election

প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক পঞ্চায়েত ভোট, প্রস্তাব হাই কোর্টের

রাজ্য

প্রয়োজনে মনোনয়নের সময় সীমা বাড়াতে হবে। ৮ জুলাইয়ের বদলে ১৪ জুলাই করা যেতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সোমবার পঞ্চায়েত মামলার শুনানি চলাকালিন এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। 

বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয় হাই কোর্টে। মনোনয়নের সময় সীমা বাড়ানো এবং শান্তিপূর্ন নির্বাচনের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। শুভেন্দু অধিকারিও মামলা দায়ের করে একই দাবিতে।

এদিন সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের হয়ে লড়াই করেন তৃণমূল সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি। কংগ্রেসের হয়ে সাওয়াল করছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।

এদিন মামলার শুনানি চলাকালিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএস শিবঞাম ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি নির্বাচনের দিন পরিবর্তনের কথাও বলেন শুনানিতে। তবে এখনও পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে কোন রায় দেওয়া হয়নি। 

এদিন মামলাকারি হিসাবে আদালতে উপস্তিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি। শুনানির প্রথম প্রবের শেষে আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মামলাকারি হিসাবে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলাম। গত ১২ বছরে মমতা ব্যানার্জির সরকার ভোটকে প্রহসনে পরিনত করেছে। ২০১৩ তে বামফ্রন্টের বিরোধী দলনেতা ছিল। ২০১৮ তে কংগ্রেস। কিন্তু এবার বিজেপি। কঠোর বিরোধীতা হবে।’’

কিন্তু খাতায় কলমে বিজেপি বিরোধী হলেও মনোনয়ন পর্বে তৃণমূল গুন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ করছেন সিপিআই(এম) কর্মীরা।

উল্লেখ্য ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দু অধিকারি তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ট। দলের পক্ষ থেকে মালদা, মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক। তার নেতৃত্বে মালদা, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুরের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে একাধিক সিপিআই(এম) কর্মীদের। ভয় দেখিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে। আজ সেই শুভেন্দু অধিকারি হাই কোর্টের মামলা করেছে শান্তিপূর্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে।    

Comments :0

Login to leave a comment